বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মধ্যরাতের ভোটের মতো অপমান হয় না: বাম জোট

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:০৪

‘২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্র দখল করেছিল। …তার মধ্য দিয়ে দেশের ১৮ কোটি নাগরিককে অপমান করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রাক্বালে দাঁড়িয়ে আমরা বলছি, বাংলাদেশের জনগণকে এইভাবে অপমান আর কেউ কোনোদিন করতে পারেনি।’

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে কেন্দ্র দখল করে সিল মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের এক কর্মসূচিতে। সরকারকে পদত্যাগের আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

জাতীয় নির্বাচনের দুই বছর পূর্তির দিন বুধবার সরকারের পদত্যাগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ছিল জোটের। সেখানেই এই অভিযোগ করা হয়।

নেতাকর্মীরা অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যেতে পারেননি। তাদেরকে শাহবাগে আটকে দেয় পুলিশ।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে ভোট দেয়া হয়ে যায় বলে অভিযোগ করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ভোটে দুর্বল বামপন্থিরাও একই কথা বলছে।

এই দিনটিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করলেও বিএনপি পালন করছে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে। বামপন্থিরা ৩০ ডিসেম্বরকে ‘কালো দিবস’ আখ্যা দিচ্ছে।

বাম মিছিলে পুলিশের বাধার সমালোচনা করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই সরকার ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের কথা বলে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে এবং তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের কজে লাগিয়ে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্র দখল করেছিল। যে পরিমাণ ভোট আছে তার চেয়েও বেশি পরিমাণে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছিল।

‘তার মধ্য দিয়ে দেশের ১৮ কোটি নাগরিককে অপমান করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রাক্বালে দাঁড়িয়ে আমরা বলছি, বাংলাদেশের জনগণকে এইভাবে অপমান আর কেউ কোনোদিন করতে পারেনি।’

সকালে পুরানা পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে জোটের নেতাকর্মীরা। পরে মিছিল শুরু করে তারা।

মিছিলটি মৎস ভবন মোড়ে পৌঁছলে বাধা দেয় পুলিশ। সেই বাধা পেরিয়ে তারা শাহবাগ মোড়ে এলে সেখানে আবার বাধা দেয়া হয়। সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষ হয় কর্মসূচি।

সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, ‘যে সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত, সেই সরকার জনগণের উন্নয়ন করতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণকে তার নিজের সরকার পছন্দ করার সুযোগ দিতে হবে।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজক নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। যদি ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করে তবে রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান জানাব, তিনি যেন সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ভোট ডাকাতের অংশীদার নির্বাচন কমিশনকে বরখাস্ত করে।’

এ বিভাগের আরো খবর