বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাতীয় নির্বাচন বাতিল দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ বুধবার

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৩:৫৩

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কর্মসূচির কথা জানান।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‍বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। এ ছাড়া জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে দলটি।

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে অভিযোগ করে দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে বিএনপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ একে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “একাদশ সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেররা যা করেছেন, তা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে ‘ডার্টি ওয়ার’।”

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে দেয়নি। দেশে যাতে গণতন্ত্রের শেকড় গজাতে না পারে, সে জন্য তারা সবসময় সর্বশক্তি প্রয়োগ করে।

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কণ্ঠরুদ্ধ করার নানা কালাকানুন, গুম, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যার অমানবিক নিষ্ঠুরতার সীমাহীন আবর্তের মধ্যে দেশকে ঠেলে দিয়েছে তারা। স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পরও গেল না আঁধার।’

৩০ ডিসেম্বর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতি হয়েছে। তাই ৩০ ডিসেম্বর দিনটিকে দেশবাসী ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে।”

বিএনপির বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে অভাবনীয় রেকর্ড সৃষ্টিকারী রাতে র‌্যাব-পুলিশের সহায়তায় ব্যালট বাক্স পূর্ণ করে ক্ষমতা দখলের দুই বছর পূর্ণ হবে আজ রাতে। তাই এ রাতটি দেশবাসীর কাছে তাদের ভোটাধিকার হরণের কালরাত হিসেবে কলঙ্কিত হয়ে থাকবে।

‘সেদিন গণতন্ত্রের গলায় ফাঁসির দড়ি ঝুলিয়েছিল তারা। ৩০ ডিসেম্বর কোনো ভোট হয়নি, যা হয়েছে তা হলো নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সম্মিলিত উদ্যোগে ভোট ডাকাতি।’

ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, “এই অভিনব ও নজিরবিহীন নিশিরাতের নির্বাচন করে অনুশোচনার বালাই নেই, বরং গত পরশু দিন ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, ‘বিএনপি তখন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত করতে এবং গণতন্ত্রকে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল।’ আদিম মানুষ নরবলি দেওয়ার পর মৃতদেহ নিয়ে যেভাবে উল্লাস করত, ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্য যেন গণতন্ত্রকে হত্যা করে সে ধরনের উল্লাসেরই বহিঃপ্রকাশ।”

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে হত্যা করে এর প্রতি এহেন শ্রদ্ধাহীন স্পর্ধার সংস্কৃতিতে দেশবাসী আজ চরমভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। এ নির্বাচনের পর নব্য নাৎসিরা দাঁত বের করেছে হিংস্রভাবে।

‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রভিত্তিক ফল বিশ্লেষণেও প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রকাশিত ফল ছিল সম্পূর্ণ বানোয়াট। নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও সরকারি দলের বক্তব্য যখন এক হয়ে যায়, তখন সেই নির্বাচন কমিশন যে সরকারের গোলাম হয়েই কাজ করেছে তাও প্রমাণিত।’

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ইসির ভোট ডাকাতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার করার জন্য দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা যে দাবি জানিয়েছেন, সে দাবির পাশাপাশি ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেই আওয়ামী সরকারের এ মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত।’

এ বিভাগের আরো খবর