বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পৌর নির্বাচনও ডাকাতির: রিজভী

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:০৩

রিজভী বলেন, “এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অধিকাংশ পৌর নির্বাচনি এলাকায় তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে। সরকারের ‘হার্ড হিটিং’ ইমেজ বজায় রাখতে ভোটারসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চলছে বেপরোয়াভাবে।”

দেশে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মতো ২৪ পৌরসভার নির্বাচনও ‘ডাকাতির’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন ৷

‘আজ দেশব্যাপী ২৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনগুলোও আগের অবস্থার মতোই রক্তপাত ও ডাকাতির নির্বাচন।’

তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অধিকাংশ পৌর নির্বাচনি এলাকায় তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে। সরকারের ‘হার্ড হিটিং’ ইমেজ বজায় রাখতে ভোটারসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চলছে বেপরোয়াভাবে।”

নির্বাচনি পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে রিজভী বলেন, ‘আজ খুলনার চালনা পৌরসভায় সকাল থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কুরুক্ষেত্র বানিয়ে রেখেছে। বিএনপির এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। চালনার অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র দখল করে নেয়া হয়েছে। চালনা এম এম কলেজ ভোটকেন্দ্রে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে কেন্দ্রটি দখল করে নিয়েছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী। ছবি: নিউজবাংলা

‘পৌর নির্বাচন শুরু হওয়ার পরপরই পঞ্চগড় পৌরসভার নতুন বস্তি এলাকায় ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীর প্রধান এজেন্ট ইউনুসসহ নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের গুরুতর করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। প্রশাসন সেখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। যদিও কয়েক দিন ধরে জেলা প্রশাসনের কর্তারা বলে এসেছেন যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু আজকে তারা আওয়ামী সরকারের বরকন্দজের ভূমিকা পালন করছে।’

রিজভী অভিযোগ করেন, ‘কুড়িগ্রামে পৌর নির্বাচন শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্রগুলো দখল করে প্রশাসনের সহায়তায় দেদারসে নৌকা প্রতীকে সীল মারছে। ধানের শীষের এজেন্টদেরকে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে।

‘সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর আর কুষ্টিয়ার খোকসা পৌর নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ধানের শীষের এজেন্টদেরকে বের করে দিয়ে ভোটকেন্দ্রগুলো দখল করে নিয়েছে। এখানে ইভিএমে ভোট নেয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র আওয়ামী কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকিয়ে ইভিএমে নৌকায় ভোট দিতে পারছে। কিন্তু সাধারণ ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।’

দেশের ২৪ পৌরসভায় সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘ময়মনসিংহ জেলাধীন গফরগাঁও পৌর নির্বাচনে গত দুই রাত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ গিয়ে হুমকি দিয়ে এলাকাছাড়া করে দিয়েছে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘মানিকগঞ্জে সদর পৌর নির্বাচনে সকল ভোটকেন্দ্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দখলে নিয়ে নৌকায় সীল মারছে। এর আগে সেখানে চলে পুলিশি তাণ্ডব। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকাকে বিএনপিশূন্য করা হয়েছে।

আজ ভোট শুরু হলে বিএনপির এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে গেলে তাদেরকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। যারা ঢুকতে চেষ্টা করেছে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ভোটারদেরকেও ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করেন রিজভী।

ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। বিএনপি তখন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত করতে এবং গণতন্ত্রকে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল।’

রিজভী এ বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথাতেই বোঝা যায় যে, নির্বাচনে বিএনপি না আসুক, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই তারা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন। বিএনপির অংশগ্রহণের কারণে তাদেরকে বিজয়ী হতে ভোটকেন্দ্র দখল করতে হয়। নিশিরাতে নৌকায় সীল মেরে ব্যালট বাক্স ভরতে হয়। ভোটারদের ভয় দেখাতে হয়। ফলে তাদের স্বরুপ জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

‘আর এ কারণেই ওবায়দুল কাদের সাহেবের বাকশালী চেতনা জাহির হয়ে পড়ে যে, বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। কারণ একতরফা নির্বাচনই হচ্ছে তাদের চেতনা।’

এ বিভাগের আরো খবর