বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পৌর নির্বাচনে নেই জামায়াত, বিএনপি থেকেও ‍দূরে

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:১৫

১৯৯৯ সাল জোটবদ্ধ হওয়ার পর জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি সব স্থানীয় নির্বাচনেও বিএনপির পাশে ছিল জামায়াত। কিন্তু এবার পৌর নির্বাচনে দুই দল দূরে দূরে। প্রতীক হারানো জামায়াত এবার স্বতন্ত্র হিসেবেও প্রার্থী দেয়নি।

নির্বাচনি প্রতীক দাঁড়িপাল্লা বাতিল হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। তবে এবার পৌরসভা নির্বাচনে কোথাও প্রার্থী নেই মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা দলটির।

সোমবার ২৪ পৌরসভায় ভোট হবে। এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়েছে। গত কয়েক বছরে ভোট নিয়ে নানা অভিযোগ করলেও বিএনপি প্রার্থী দিয়েছে প্রতিটিতেই।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, এই নির্বাচনে তারা কোনো প্রার্থী দেননি। বিএনপিকে সমর্থনও দেননি।

বিএনপিও বলছে, পৌর নির্বাচনে জোটসঙ্গী জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো আলোচনা হয়নি। ফলে তারা ভোটের মাঠে একাই।

ইতিমধ্যে তিন ধাপের নির্বাচনে তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপের ২৪টিতে ভোট হবে ২৮ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভায় ১৬ জানুয়ারি এবং তৃতীয় ধাপে ভোট হবে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি।

গত ২২ নভেম্বর প্রথমধাপে ২৫টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। তবে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার একজন মেয়র প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে স্থগিত হয়েছে নির্বাচন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তো আগেই বলেছি, আমরা নির্বাচনে যাব না। কারণ এই সরকার ও এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি। ফলে নির্বাচনে যাওয়ার অর্থ অবৈধ জিনিসকে বৈধতা দেয়া। এ কারণে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরই তো ঘোষণা দিয়েই আমরা এ কথা বলে দিয়েছি।’

কিন্তু আপনাদের জোটসঙ্গী বিএনপি তো ভোটে যাচ্ছে- এমন প্রশ্নে জামায়াত নেতা বলেন, ‘বিএনপি একটি আলাদা দল। তাদের পলিসি আলাদা। নির্বাচন করবে না করবে তাদের ব্যাপার। আমাদের দল আলাদা, আমাদের পলিসি ভিন্ন।’

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলছেন, বিএনপিকে ভোটে সমর্থন দিতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই

নিজেরা ভোটে না যাওয়ায় বিএনপির পক্ষে কাজ করছেন কি না, জানতে চাইলে পরওয়ার বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেই। বিএনপি নির্বাচন করবে এটা তাদের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।

‘কোনো দল গেলে সেটা দলীয় সিদ্ধান্তে যাচ্ছে। আবার কোনো দল না যাওয়ার সিদ্ধান্তও নিতে পারে। সেখানে তার এখতিয়ার তো আছেই।’

তিনি বলেন, ‘২০ দল কখনোই বলেনি পৌরসভায় হোক আর জাতীয় নির্বাচনে হোক জোটগতভাবে নির্বাচনে যাবে।’

জোটগতভাবে নির্বাচনে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি সেটেলড। এ বিষয়ে এখন প্রশ্ন করেন কেন?’

জামায়াতের সঙ্গে কি কোনো সমঝোতা হয়নি?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো কথাই হয়নি।’

জামায়াতের সঙ্গে কি কোনো দূরত্ব তৈরি হয়েছে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘সে রকম কিছুই না। জামায়াতের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনি জোট। আমরা কথা বলি, কাজ করি এই। তবে এবার পৌরসভা নির্বাচন বিএনপি দলীয়ভাবে করছে।’

তিনি বলেন, ‘পৌরসভা নির্বাচন সাধারণত দলীয়ভাবেই হয়। জাতীয় নির্বাচন জোটগতভাবেই আমরা করেছি।’

সেলিমা রহমান এই দাবি করলেও গত দুই দশকের নির্বাচনগুলো সাক্ষী দিচ্ছে ভিন্ন।

১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে গোলাম আযমের জামায়াতে ইসলামী, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি এবং আজিজুল হকের ইসলামী ঐক্যজোটকে নিয়ে জোট গঠন করে বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি।

পরে এরশাদ জোট ছেড়ে গেছেন। তার দলের একটি অংশ বিজেপি নামে আলাদা দল গঠন করে জোটে থেকে যায়।

২০০১ সালের নির্বাচনে জিতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠনের পাঁচ বছর পর ২০০৬ সালে আজিজুল হকের দল জোট ছেড়ে গেছে। ফজলুল হক আমিনীর নেতৃত্বে ঐক্যজোটের আরেক অংশ জোটে থেকে যায়।

আমিনীর মৃত্যুর পর ওই অংশও বিএনপিকে ছেড়ে যায়। যদিও পরে বিএনপি আরও কিছু দলের সঙ্গে ঐক্য গড়ে ২০ দলীয় জোট গড়ে তুলেছে।

২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে বিএনপির সব জাতীয় নির্বাচন, সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন এমনকি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জোটগতভাবে লড়াই করেছে। কেবল কিছু আসন সমঝোতার ভিত্তিতে উন্মুক্ত ছিল। সেখানে বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতের প্রার্থী ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর