বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দলে কাউকে সাইজ করে লক্ষ্যে পৌঁছা যাবে না: গয়েশ্বর

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:২১

‘এখান থেকে বাইরে গিয়ে তিন-চার জন লইয়া দোকানে বইসা কারে সাইজ করতে হবে তা নিয়ে আলাপ করি আমরা। এ রকম হলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।’

বিএনপি যেভাবে চলছে তাতে তারা সরকার পতনের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না বলে মনে করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি মনে করেন, দলে ঐক্য নাই। এভাবে কাজ হবে না।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই সরকারকে হটাতে হবে-ওয়াদা করি প্রতিদিন। ডেইলি প্রতিশ্রুতি দেই। দলের ভেতরে বিভেদ চলবে না, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কৃষক দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন গয়েশ্বর।

বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দুইবার আন্দোলনে নেমে খালি হাতে ঘরে ফিরেছে বিএনপি। ২০১৫ সালের পর আর বড় ধরনের কোনো কর্মসূচিতে যায়নি দলটি। যদিও দলের নেতারা বারবার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের আশার কথা বলে আসছেন।

এর মধ্যে সম্প্রতি আবার বিএনপিতে বিভেদের বিষয়টি উঠে আসছে। সম্প্রতি দুই জন সহসভাপতিতে দলের ঐক্যবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। যদিও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, তাদের দলে ঐক্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।

গয়েশ্বর মনে করেন দলে বিভেদ নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছা যাবে না। তিনি বলেন, ‘এখান থেকে বাইরে গিয়ে তিন-চার জন লইয়া দোকানে বইসা কারে সাইজ করতে হবে তা নিয়ে আলাপ করি আমরা। এ রকম হলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।

‘ফাস্ট অব অল স্ট্রাগল ফর ইউনিটি। দলের মধ্যে আমাদের শক্তি যতটুকুই আছে, ওইটুককে আমরা ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সংগ্রাম করি। তারপরেই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুভমেন্টটা করব। এটা আমার কথা নয়, মাও সেতুংয়ের কথা।’

তিনি বলেন, ‘জাতি ঐক্যবদ্ধ হলেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা যাবে। গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারলে শুধু খালেদা বা তারেক রহমান নয়, দেশের ১৮ কোটি মানুষ মুক্তি পাবে।’

জিয়ার সিদ্ধান্তে অবনত মন্তকে যু্দ্ধে আওয়ামী লীগ

জিয়াউর রহমানের সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল বলে দাবি করেন গয়েশ্বর। তার দাবি এটাই ঐতিহাসিক সত্য।

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ডাকে আওয়ামী লীগের নেতারা অবনত মস্তকে, বিনা প্রতিবাদে তার সিদ্ধান্তে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল ন। কেউ তাকে প্রশ্ন করেননি, আপনি কে?

‘কারণ জনগণের মনের কথা জিয়াউর রহমান বলেছেন। সে জন্য জিয়া এ দেশের কোটি জনতার নিকট আত্মার আত্মীয়। মুছে ফেলার চেষ্টা চলে, কিন্তু মুছা যায় না। এই ঐতিহাসিক সত্য কখনও মুছা যায় না।’

বিএনপি তার প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দাবি করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর পর বঙ্গবন্ধু সে সময়ের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে যে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন সেটি পরে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার হয়।

তবে ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সে সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর জিয়াউর রহমান। ১৯৮১ সালে তাকে হত্যার পর থেকে বিএনপি তাকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দাবি করে আসছে। যদিও বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে হাইকোর্টে। উচ্চ আদালত এক রায়ে জানিয়েছে, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর অন্য কাউকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা দণ্ডনীয় হবে।

আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন নির্বাচন করে এই সরকার পরিবর্তন করবে তাহলে তা অসম্ভব। কারণ নির্বাচনি ব্যবস্থাকেই তো এই সরকার শেষ করে দিয়েছে। তাই বলব, রাস্তায় নামা ছাড়া সরকার পরিবর্তনে অন্য কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর