ঢাকার ধামরাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদেরকে মারধর, কামড়ে জখম ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ধানের শীষের সমর্থকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী গোলাম কবির মোল্লার সমর্থক যুবমহিলা লীগ নেত্রী জয়া হোসেন ধামরাই থানায় অভিযোগ করেছেন।
বুধবার ধামরাইয়ের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাগজিয়াপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের এক নির্বাচনী প্রচারে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালালে এ ঘটনা ঘটে।
রাতেই ধামরাই থানায় বিএনপির কর্মী নাছিমা বেগম, ডায়না বেগম ও মুন্নি বেগমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন ধামরাই উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়া হোসেন।
জয়া হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, “আমরা গ্রুপ কইরা ভোট চাইয়া বেড়াইতেছিলাম। একেকটা গ্রুপে আমরা ৫-৬জন কইরা আছি। আমাদের দেইখাই ওরা বলতাছে, ‘চুরের দলেরা নৌকার ভোট চায় চুরি কইরা’। তখন আমরা বলছি, ‘আমরা চুর না তোরা চুর?’ তখনা নাছিমা আমার গালের মধ্যে থাপ্পড় দিয়া ধাক্কা দিয়া ফালায় দিছে। আমার হাতে ব্যাথা পাইছি। লাফ দিয়া ওঠার পরে আমার চুলের মুঠি ধইরা টান দিছে। বাধা দিতে গিয়া আমার ও আরও দুইজনের হাতে কামড়াইছে ওরা। পরে লোকজন আগায় আইসা আমাদের বাঁচাইছে।”
ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী দেওয়ান নাজিমুদ্দিন মন্জুও তার সমর্থকদের মারধরের পাল্টা অভিযোগ এনেছেন। তবে পুলিশ অভিযোগ আমলে নেয়নি।
মন্জু বলেন, 'আমার বড় মেয়ে ও দুই ছেলের বউসহ তিনজন। আর ওরা হইল ৩০ জন। তিন জন, ৩০ জনের লগে পারে কেমনে? আমার মেয়ে ও দুই ছেলের বউ গেছে কাওয়ালী পাড়া লিফলেট বিতরণ করতে। তহন কবির মোল্লার ওয়াইফ আরও ২০-৩০জন আইসা হামলা চালাইছে। নাছিমা আর মুন্নির জামাটামা ছিড়া ফালাইছে। উল্টা ওরা গিয়ে থানায় মামলা দিছে। আমরা অভিযোগ করছি, রাখব কি রাখব না সেই সিদ্ধান্ত তারা দ্যায় নাই।’
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বিএনপি সমর্থকরা অভিযোগের পাল্টা অভাযোগ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক মহিলার গায়ে বেশ কয়েকটা কামরের দাগ পাওয়া গেছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি কী ঘটনা ঘটেছে। যদি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার মতো ঘটনা ঘটে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।’