আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন মারা গেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
জাহাঙ্গীর হোসাইনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মাজার রোডের বাসায় শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাহাঙ্গীরের মরদেহ নেয়া হবে পটুয়াখালীর তার নিজ গ্রামে। সেখানে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
পটুয়াখালী-৩ আসনের (গলাচিপা-দশমিনা) সাবেক এই সংসদ সদস্য করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তাকে গত ৪ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাত থেকে তার রক্তচাপ ও অক্সিজেনের মাত্রা অস্বাভাবিক কমে গিয়েছিল বলে জানান গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সন্তোষ দে।
জাহাঙ্গীর হোসাইন পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮১-৮৩ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন জাহাঙ্গীর হোসাইন। ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় বস্ত্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
সংস্কারপন্থি অভিযোগে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন তিনি। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে ফের এমপি নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী ৩ আসনে তার পরিবর্তে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন পান এস এম শাহজাদা।
জাহাঙ্গীর হোসাইনের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক শূন্যতার সৃষ্টি হলো। দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদকের সংগ্রাম এবং সাংগঠনিক দক্ষতার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।