তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি শিগগিরই হতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার সকালে বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে মত বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
দুই দেশের নানা সমস্যা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের বিষয়টি তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে, তার মাধ্যমে তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানিবণ্টন আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তিও শিগগিরই হতে পারে।’
বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাগত জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দোরাইস্বামী।
মত বিনিময় শেষে গণমাধ্যমকে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং একাত্তরের রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ। দুই দেশের এ সম্পর্ক সময়ের পরিক্রমায় নতুন মাত্রায় উন্নীত হচ্ছে।
‘প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া থাকলে অনেক অমীমাংসিত ইস্যু সহজেই সমাধান সম্ভব, যার প্রমাণ বাংলাদেশ ও ভারত। শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় করে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। এতে বেড়েছে পারস্পরিক আস্থা।’
সীমান্ত হত্যা আলোচনার মাধ্যমে শূন্যে নামিয়ে আনা হবে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত হত্যার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে বৈঠক চলছে। এ প্রশ্নে দুই দেশের সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।’
সাংবাদিকদের ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ‘করোনা টিকার বিষয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। ভারত ও বাংলাদেশের আজকের যে সুসম্পর্ক বিরাজ করছে তার জন্য আওয়ামী লীগের অবদান অনেক।’
এ সময় করোনায় প্রাণ হারানো আওয়ামী লীগ নেতাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন দোরাইস্বামী। শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সেনাদের প্রতিও।
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন পাইলট হিসেবে। আমি তাই খুবই গর্বিত।’
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম।