বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসি নিয়ে প্রশ্ন তোলা বিশিষ্টজনদের প্রতি বিএনপির কৃতজ্ঞতা

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:৪৮

‘আমি মনে করি, এটাকে সমস্ত বুদ্ধিজীবী যারা আছেন তাদের সমর্থন করা উচিত। ইটস নট ফর বিএনপি, নট ফর পলিটিক্যাল পার্টি। এটা দেশের জন্য, জাতির জন্য প্রয়োজন।… যে একটা নির্বাচন কমিশন, তারা চুরি করে, তারা টাকা চুরি করে, এসব উঠে এসছে। এ কথাগুলো আমরা নির্বাচন কমিশনের গঠনের সময় থেকে বলে আসছি।’

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেয়া বিশিষ্টজনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বিএনপি।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীদের মতে, বিশিষ্টজনরা ‘তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন’।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিককে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কতৃজ্ঞতা জানাতে চাই যে, এতদিন পরে তারা জনগণের যে মূল কথা সেটা নিয়ে এসছেন, কথা বলেছেন। তাদের যে দায়িত্ব আছে সেই দায়িত্ব তারা পালন করেছেন।’

গত শনিবার ৪২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অসদাচরণ, কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, নিয়মবহির্ভূত বিলাসবহুল গাড়ির ব্যবহার, ইভিএম ক্রয়ে অনিয়ম, অংশীজনের মতামত উপেক্ষা, নির্বাচনি অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া, রিটার্নিং কর্মকর্তা সাক্ষরিত ফলাফলের সঙ্গে কেন্দ্রের ফলাফলের অমিলসহ নানা অভিযোগ আনেন। তারা রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়ে এর প্রতিকারও চেয়েছেন।

  • রাষ্ট্রপতির কাছে যে চিঠি দিয়েছেন বিশিষ্টজন, তা দেখতে ক্লিক করুন এই লিংকে

এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমার বিবেচনায় (বিশিষ্টজনদের মধ্যে) যারা নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে আছেন, তারা এই নির্বাচন কমিশনে ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন। সেই ব্যবসার সুযোগ হয়ত এই নির্বাচন কমিশনের আমলে হয়নি। তাই তারা ক্ষুব্ধ হতেই পারেন।’

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে ৪২ ব্যক্তির বিবৃতি বিএনপির খসড়া করে দেয়া। তিনি বলেন, ‘দেশের ৪২ বিশিষ্ট ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে একটা বিবৃতি দিয়েছেন। এই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সবাই বিএনপি ঘরানার হিসেবে পরিচিত। তাদের কেউ কেউ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদেও আছেন এবং তারা প্রতিনিয়ত নানাভাবে সরকারের বিরুদ্ধে বলে আসছেন।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিএনপি যেসব অভিযোগ করে আসছে, ৪২ বিশিষ্ট ব্যক্তির অভিযোগেও সেগুলো উঠে এসেছে।

ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, এটাকে সমস্ত বুদ্ধিজীবী যারা আছেন তাদের সমর্থন করা উচিত। ইটস নট ফর বিএনপি, নট ফর পলিটিক্যাল পার্টি। এটা দেশের জন্য, জাতির জন্য প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘যে একটা নির্বাচন কমিশন, তারা চুরি করে, তারা টাকা চুরি করে, এসব উঠে এসছে। এ কথাগুলো আমরা নির্বাচন কমিশনের গঠনের সময় থেকে বলে আসছি।’

নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, ‘চোর কি কখনও স্বীকার করে যে, আমি চুরি করেছি?’

৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের দেয়া বিবৃতি নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের বিজ্ঞ তথ্যমন্ত্রী মহোদয় তিনি বলেছেন যে, এটা বিএনপির অফিসে ড্রা্ফট হয়েছে। যা একজন মানুষও বিশ্বাস করে না।

‘যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা একজনও বিএনপি করেন না। বরঞ্চ বিভিন্ন সময়ে তারা বিএনপির সমালোচনা করেছেন। প্রকৃত সত্য যখনই সামনে আসে এবং জনগণ যখন সত্য কথা বলতে চায়, নাগরিকরা সত্য কথা বলতে চায় তখনই আপনার তাদের বিএনপি বানিয়ে ফেলেন। এটা হচ্ছে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার আরেক জঘন্যতম কৌশল।’

রাষ্ট্রপতিকে যারা চিঠি দিয়েছেন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান, আকবর আলি খান ও সুলতানা কামাল, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বিএনপির জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা কামাল হোসেনের স্ত্রী হামিদা হোসেন, কামাল হোসেনের মেয়ে সারা হোসেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, অর্থনীতিবিদ মইনুল ইসলাম ও আহসান এইচ মনসুর, এনজিও কর্মী বদিউল আলম মজুমদার, রাশেদা কে চৌধুরী, খুশী কবীর, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, আইনজীবী শাদহীন মালিক, বামপন্থি রাজনীতিক আনু মুহাম্মদ, উচ্চ আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনি লড়াই করা আইনজীবী জেড আই খান পান্না, আলোকচিত্রী শহীদুল আলম।

এ বিভাগের আরো খবর