কালো পতাকা ও কালো ব্যাজ পরে সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।।
নয়াপল্টনে সোমবার সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এমন একটি সরকারের অধীনে দেশের জনগণ বাস করছে, যারা দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে বিক্রি করে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মানসম্মান সম্ভ্রম বলে আর কিছু নেই।…গত সাড়ে ১২ বছর প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে সীমান্তে।’
২০১৯ সালের জুলাই মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জাতীয় সংসদে জানান, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে ২৯৪ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।
আইন ও শালিস কেন্দ্রের সাম্প্রতিক এক তথ্যে বলা জানানো হয়, গত ১২ বছরে প্রায় ৫৫০ জন বাংলাদেশিকে সীমান্তে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ। গত প্রায় এক বছরে খুন হয়েছে ৪৫ জন।
বর্তমান সরকার ‘সত্যিকারের’ ভোটে নির্বাচিত না বলেই এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে পারে না বলে মনে করেন রিজভী।
‘যদি সত্যিকারের জনগণের সরকার থাকত, তাহলে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভারতের বিএসএফ কর্তৃক পাইকারিভাবে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যার প্রতিবাদ করতে পারত না। যেহেতু এই সরকারের গণভিত্তি নেই, তাই তারা অন্যের কাছে নতজানু হয়ে থাকে।’
সীমান্ত হত্যাকাণ্ডগুলোকে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বৈধতা দিচ্ছেন জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘কিছুদিন পরপর সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।’
রিজভীর দাবি, দেশের কেউ সরকারের সমালোচনা করলেই মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে, বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু সীমান্তে পাশের দেশের অন্যায় নিয়ে কিছু বলতেও পারছে না সরকার।
‘একটা মেরুদণ্ডহীন সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’- যোগ করেন রিজভী।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এজিএম শামসুল হকসহ অনেকে।