বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির কর্মসূচি

  •    
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:১১

‘সোমবার দেশের সব জেলা ও মহানগরে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পোশাক পরিধান করবে।’

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।

দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। অথচ সরকার কোনো প্রতিবাদ করছে না।

রোববার দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সোমবার দেশের সব জেলা ও মহানগরে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পোশাক পরিধান করবে।’

আইন ও শালিস কেন্দ্রের একটি তথ্য তুলে ধরা হয় সংবাদ সস্মেলনে। জানানো হয়, গত ১২ বছরে প্রায় ৫৫০ জন বাংলাদেশিকে সীমান্তে হত্যা করেছে বিএসএফ। গত প্রায় এক বছরে খুন হয়েছে ৪৫ জন।

রিজভী বলেন, ‘সীমান্ত হত্যার ঘটনায় বর্ডার গার্ডের তরফ থেকে পতাকা বৈঠক করে লাশ গ্রহণ ছাড়া ভরসা রাখার মতো কোনো তৎপরতাই এখন চোখে পড়ে না।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত এখন বাংলাদেশের সীমান্ত। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা এখন দক্ষিণ এশিয়ার একটি ভয়ঙ্কর বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে।’

‘মোমেন কি ভারতের প্রতিনিধি?’

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ভারতের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করেন কি না জানতে চান রিজভী৷

মন্ত্রীর একটি বক্তব্যের জেরে বিএনপি নেতা বলেন, ‘জানতে ইচ্ছে করছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন কি স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, নাকি বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতিনিধি।’

গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল সামিটে সীমান্ত হত্যা নিয়েও কথা হয়। মোদি আশ্বাস দেন, তার দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করবে না।

সেদিন এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আমাদেরও দোষ আছে। আমাদের কিছু দুষ্টু লোক তাদের সীমান্তের অনেক ভেতরে চলে যায়। অস্ত্র-বারুদ নিয়ে যায়। সেখানকার স্থানীয়রাও এর সঙ্গে জড়িত। আমাদের সীমান্তে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমাতে হবে।’

রিজভীর অভিযোগ, বিএসএফের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বিজয়ের মাসে, এমনকি বিজয় দিবসে সীমান্তে মানুষ মারা যাওয়ার পরও যে মন্ত্রীর কোনো বিকার নেই, এরা আত্মা বিক্রি করেছেন বলেই সীমান্তে বাংলাদেশিদেরকে হত্যায় বিএসএফের পক্ষে নির্লজ্জ সাফাই গাইছেন।’

খাদ্যমন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদারের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যও তুলে ধরেন রিজভী। বলেন, ‘কিছুদিন আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছিলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু আনতে গিয়ে ইন্ডিয়ার গুলি খেয়ে মারা যায়, তার জন্য দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার নেবে না।’

এই দুই মন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘যারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দূরের কথা, উল্টো পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বাংলাদেশের মানুষদেরকে হত্যা করারই ন্যায্যতা দান করা হচ্ছে।

‘এই দুই মন্ত্রীর বক্তব্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী। সুতরাং সীমান্ত হত্যার দায় বাংলাদেশ সরকারও এড়াতে পারে না।’

ফেলানি হত্যায় বিচার না হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে বিজভী বলেন, ‘সেই বর্বর দৃশ্য আজও দেশের মানুষকে ব্যথিত করে। প্রতিটি দেশপ্রেমিকের হৃদয়ে আজও রক্তক্ষরণ হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর