সমাজে এখনও বৈষম্য ও বঞ্চনা বিদ্যমান। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেলেও মুক্তি পাওয়া যায়নি বলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
বুধবার বনানীর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু মুক্তি পাইনি। এখনো সমাজে বৈষম্য ও বঞ্চনা বিদ্যমান। শোষণ, বৈষম্য, জুলুম আর নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। কিন্তু দেশের মানুষ কী স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পেরেছে?’
জি এম কাদের বলেন, ‘ ১৯৯১ পরবর্তী কোনো সরকারের শাসনামলেই সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পায়নি। অথচ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে সামাজিক বৈষম্য ছিল না, জীবনের নিরাপত্তার অভাব ছিল না। সরকারি কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছেন।
‘চাকরি, ব্যবসা ও আইনের চোখে সবাই সমান ছিল। তার শাসনামলের নয় বছরে কোনো দলবাজী ছিল না। স্বাধীনতার স্বাদ গণমানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে কাজ করেছেন তিনি।’
জাতীয় পার্টি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শে নতুন বাংলাদেশ গড়ে স্বাধীনতার সুফল গণমানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে; শোষণ, বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিতে রাজনীতি করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শোষণ, বৈষম্য, জুলুম আর নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল উল্লেথ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘দেশের মানুষ কী স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পেরেছে?
এছাড়া করোনার টিকা সাধারণ মানুষ কীভাবে পাবে, টিকা নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী হবে সেসব নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
টিকা নিয়ে কোনো মহল যেন কারসাজি করতে না পারে সে বিষয়ে সরকারকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল পায়নি। এখনও মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে চাই, আমাদের কষ্ট আর না পাওয়ার কথা নির্ভয়ে বলতে চাই। এখন কথা বলতে গেলে ভাবতে হয়, রাজনীতি করতে ভাবতে হয়।’
জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক ও চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ।
সভা পরিচালনা করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদ।