জাতিকে মেধাশূন্য করার প্রক্রিয়া সেই একাত্তর থেকে আজও বিদ্যমান বলে মনে করেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফয়েজউল্লাহ।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন এলাকায় এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির সূর্যসন্তানদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শিখা চিরন্তন পর্যন্ত আলোর মিছিল শেষে এ সমাবেশ করে ছাত্র ইউনিয়ন।
ফয়েজউল্লাহ বলেন, ‘১৯৭১ সালে সাম্রাজ্যবাদী চক্রের মদদে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও আলবদর-আলশামস বাহিনী জাতির সূর্যসন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতিকে মেধাশূন্য করার প্রক্রিয়া সেই একাত্তর থেকে আজও বিদ্যমান।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী বিরুদ্ধ মত দমন করতে গিয়ে বুদ্ধিজীবীদের কারাগারে নিক্ষেপ করছে। স্বাধীনতার মূল চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। দেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করার পাশাপাশি মৌলবাদী শক্তিকে তোষণ করে ক্ষমতা সুসংহত করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মৌলবাদী শক্তির ভাস্কর্য অপসারণ, পাঠ্যপুস্তক থেকে গুণী লেখকদের লেখা বাদ দেয়ার দাবি মূলত আওয়ামী সরকারের মৌলবাদ তোষণের ফল।’
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘মৌলবাদী শক্তিকে তোষণ করে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সরকারের তোষণের কারণে মৌলবাদী শক্তি ফুলেফেঁপে উঠছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলণ্ঠিত করার সব চেষ্টা আমরা রুখে দাঁড়াব।’