বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির হঠাৎ বিক্ষোভ, নেপথ্যে কে?

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:৩৪

এই ধরনের জমায়েতের কোনো পরিকল্পনা দলের কেন্দ্র থেকে করা হয়নি। এর পেছনে দলের সমর্থক একজন বুদ্ধিজীবীর হাত রয়েছে বলে ধারণা করছেন নেতারা। ওই বুদ্ধিজীবী বিএনপিকে রাজপথে নামতে বারবার তাগাদা দিচ্ছেন।

বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার কর্মী হঠাৎ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। যদিও সেখানে নেতৃস্থানীয় কেউ ছিলেন না। আর এই বিক্ষোভের আয়োজন কে বা কারা করেছেন, সেটাও স্পষ্ট নয়।

সোমবার দুইটার দিকে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান নেয় তারা। এ সময় তারা সরকার পতনের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকে। তবে পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।

এই বিক্ষোভে পরিচিত মুখ বলতে দুই জনকেই দেখা গেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা সেরে সেখানে যোগ দেন বিএনপির পেশাজীবী নেতা ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ ও ২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম।

সেখানে বিএনপি আমলের সাবেক মন্ত্রী দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সাংবাদিক শওকত মাহমুদের পাশাপাশি তাকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে।

‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বর্তমান প্রেক্ষাপট' শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় শওকত মাহমুদ ছাড়াও ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না। এই সভা শেষেই রাজপথের সেই আয়োজন বড় হয়।

বেলা আড়াইটার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় নেতা-কর্মীদের চাপে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে লাঠিপেটা করে।

ধাওয়া খেয়ে নেতা-কর্মীরা যান মুক্তাঙ্গনে। সেখানেও পুলিশের তাড়ার পর বেলা তিনটার দিকে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

বিএনপির একধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই ধরনের জমায়েতের কোনো পরিকল্পনা দলের কেন্দ্র থেকে করা হয়নি। এর পেছনে দলের সমর্থক একজন বুদ্ধিজীবীর হাত রয়েছে বলে ধারণা করছেন নেতারা। ওই বুদ্ধিজীবী সম্প্রতি বিএনপিকে রাজপথে নামতে বারবার তাগাদা দিয়েছেন।

ওই বুদ্ধিজীবীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দলের এই ধরনের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কারা জড়ো হয়েছেন, সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।’

এই কর্মসূচি পালন হয়েছে যেখানে, সেটি বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওতাভুক্ত। সম্প্রতি দক্ষিণ মহানগর বিএনপির বেশ কিছু কর্মসূচির প্রধান অতিথি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এই জমায়েতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এ নিয়ে একদমই অবগত না। জানিও না কিছু।’

বিএনপির একজন সহসভাপতিকে সেখানে দেখা গেছে- এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা নেই।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দাবিতে গত আট বছরে দুই বার আন্দোলন করেছে বিএনপি এবং তার সমমনারা।

পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সহিংস আন্দোলন করে বিএনপি এবং তার জোট।

নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থতার পর ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি সরকারের এক বছর পূর্তির দিন অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেই কর্মসূচি অকার্যকর হয়ে পড়লে বিএনপি আর তা প্রত্যাহার করেনি। তবে এরপর নানা সময় হুমকি দিলে বড় ধরনের কর্মসূচিতে আর যায়নি দলটি।

এমনকি ২০১৭ সালে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হওয়ার পরেও সেভাবে মাঠে নামেনি বিএনপি।

শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদকে শোকজ করা হয়েছে। তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ঠিক কী কারণে শোকজ- জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘সংগঠনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের কারণে তাকে শোকজ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বিষয়টিকে দফতর থেকে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিভাগের আরো খবর