বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাষ্ট্রধর্ম করা জাপা ‘পছন্দ করে না’ ধর্মের গোঁড়ামি

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:৪৩

তিন দশকেরও বেশি সময় আগে ১৯৮৮ সালের ৭ জুন এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালে সংবিধান সংশোধন করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয়। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সে সময় বিএনপি এমনকি জামায়াতে ইসলামও এই সংবিধান সংশোধনীর ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানিয়ে হরতাল করে। পরে অবশ্য কোনো দল এই সংশোধনী বাতিল করেনি।

বাংলাদেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে আইন পাস করা জাতীয় পার্টি দাবি করেছে তারা ধর্মীয় গোঁড়ামি পছন্দ করে না।

সোমবার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের, যিনি দলটির প্রতিষ্ঠানা সেনা শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাই।

সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা বাঙালি জাতির ঐতিহ্য নয়। আমরা ধর্মপ্রাণ, ধর্মকে ভালোবাসি। কিন্তু ধর্মের গোঁড়ামিকে আমরা পছন্দ করি না।’

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ ইস্যুতে ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠীর যে প্রতিক্রিয়া, তার ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করেন জাতীয় পার্টির নেতাকে।

তিন দশকেরও বেশি সময় আগে ১৯৮৮ সালের ৭ জুন এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালে সংবিধান সংশোধন করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয়। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সে সময় বিএনপি এমনকি জামায়াতে ইসলামও এই সংবিধান সংশোধনীর ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানিয়ে হরতাল করে। পরে অবশ্য কোনো দল এই সংশোধনী বাতিল করেনি।

জি এম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমান নিজেদের ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করছে। বাঙালি জাতির সংস্কৃতি সবাই সমন্বিতভাবে তুলে ধরেছে। আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছে তা বাস্তবসম্মত নয়, জনগণের মনের কথা নয়।’

‘মূর্তি বানানো, ছবি তোলা, গান, নাটক বা হিজাব না পরা তা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার সাথে চলমান। কিন্তু এর বাইরে কেউ কিছু চাপিয়ে দিতে চাইলে তা জনগণ কখনোই গ্রহণ করেনি।’

জি এম কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ নিজস্ব সংস্কৃতি পালন করেই একটি সুখি-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ চায়। গুটি কয়েক মানুষ বাঙালি সংস্কৃতির বাইরে থাকতে পারে। যারা বাঙালি সংস্কৃতির বাইরে তারা কখনোই দেশের নীতি নির্ধারক হতে পারে না।’

অন্য এক প্রশ্নে জাতীয় পার্টির নেতা বলেন, ‘সরকারি কাজে জনগণের ইচ্ছার প্রতিধ্বনি হলেই তা গণতন্ত্র। তবে শতকরা একশ ভাগ গণতন্ত্র কখনোই কোনো দেশে হয় না।’

দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফসল চিশতী, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর