বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন এড়ালেন ফখরুল

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ১১:৫২

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে মির্জা ফখরুলের কাছে ভাস্কর্য ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান জানতে চান সাংবাদিকরা। তিনি জবাব না দিয়ে ভিড় ঠেলে এগিয়ে যান।

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও ভাস্কর্য ইস্যুতে কোনো জবাব দিলেন না বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্ন শুনে কিছু না বলেই এগিয়ে গেলেন তিনিসহ দলের অন্য নেতারা।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপির পক্ষ থেকে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ফখরুল। এরপর মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের।

বিএনপি মহাসচিবের কথার শেষ পর্যায়ে, একজন সাংবাদিক প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘ভাস্কর্য ইস্যুতে যে আলোচনা চলছে, তাতে আপনাদের অবস্থান কী?’

এই প্রশ্ন শুনে আগের কথা শেষ না করেই ভিড় ঠেলে সামনে এগিয়ে যান ফখরুলসহ দলের অন্য নেতারা।

এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘(বিএনপির) নীরবতার মূল কারণ হচ্ছে তারা পেছন থেকে জঙ্গিবাদকে মদদ দিচ্ছে এবং পৃষ্ঠপোষকতা করছে।’

এবার শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হচ্ছে এমন এক সময় যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল ও সংগঠন মাঠে নেমেছে।

তাদের এই অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় নিস্তরঙ্গ রাজনৈতিক অঙ্গনে ছড়িয়েছে উত্তাপ। রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনও মাঠে নেমে পাল্টা বক্তব্য দিচ্ছে। প্রশাসন, পুলিশ, বিচারকরাও মাঠে নেমেছেন জাতির পিতার সম্মান অম্লান রাখার অঙ্গীকার নিয়ে।

এই বাস্তবতায় এবার বুদ্ধিজীবী দিবসে মৌলবাদ প্রতিহত করার আহ্বানই প্রধান হয়ে উঠেছে।

ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন করার আগে ফখরুল বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন রাজনৈতিক ইস্যুতে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য পাকিস্তানিরা পরিকল্পনা করেছিল। যে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৪ ডিসেম্বর বিশিষ্ট, বরেণ্য, মেধাবী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।

‘বুদ্ধিজীবীরা গণতান্ত্রিক, মুক্তবুদ্ধির বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। সেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, বাকস্বাধীনতা ও ভিন্নমত পোষণের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন দাবি করে ফখরুল বলেন, এ দেশে গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছিলেন তাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

‘সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছে।… এই দিনে শপথ নিচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব’- বলেন ফখরুল।

বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী, আমানউল্লাহ আমান, খায়রুল কবীর খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর