ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চরমোনাইয়ের প্রয়াত পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীমকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবউল আলম হানিফের বক্তব্যের সমালোচনা করেছে দলটির সহযোগী সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
শনিবার এক বিবৃতিতে হানিফের বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়েছে।
চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ ফজলুল করীম ২০০৬ সালে মারা যান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ অভিযোগ করেন, ফজলুল করীম ১৯৭১ সালে চরমোনাই মাদরাসায় আশ্রয় নেয়া নারীদের গনিমতের মাল বলে ফতোয়া দিয়েছেন।
এর প্রতিবাদে দেয়া বিবৃতিতে এই বক্তব্যকে কাল্পনিক, মিথ্যাচার, ও ইসলামবিদ্বেষী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির, সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ নূরুজ্জামান সরকার ও সেক্রেটারি আরিফ বিন মেহের উদ্দিন সাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ফজলুল করীমের মৃত্যুতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ করেছেন।
তোফায়েল আহমদ ও আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ চরমোনাইয়ের প্রয়াত পীরের জানাজায় অংশ নিয়েছেন জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তারা গোপালগঞ্জ ও বরিশাল অঞ্চলের মানুষ হয়ে এ তথ্য জানলেন না, ৫০ বছর পরে এসে জানলেন হানিফ?’
এদিন বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মত বিনিময়ে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘আমার বাবা ও দাদা এদেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় অপরাধমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দেশব্যাপী মাহফিলের মাধ্যমে লাখো অপরাধীকে সোনার মানুষে পরিণত করেছেন। এ জন্য চরমোনাই পীর সাহেবদেরকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দিয়ে অভিযোগ তোলা দুঃখজনক।’