বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাদের মিথ্যা বলতে বলতে সত্য ভুলে গেছেন: রিজভী

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:০৩

রিজভীর মতে, প্রতিদিন একটা করে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির বিরুদ্ধে বদনাম রটানোই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাজ।

প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলার কারণে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সত্য ভুলে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

রিজভীর মতে, প্রতিদিন একটা করে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির বিরুদ্ধে বদনাম রটানোই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাজ।

‘এই সংবাদ সম্মেলনের একটাই বিষয় বিএনপির বিরুদ্ধে আজগুবি, কল্পিত সব মিথ্যাচার ও কুৎসা উদগিরণ করা। মিথ্যা বলতে বলতে সত্য ভুলে গেছেন তিনি (কাদের)। জনগণ তার কথা শুনলে টিভির চ্যানেল বদলে দেয়।’

বর্তমান সরকার নিশিরাতে একটি পার্লামেন্ট বানিয়েছে এবং মনের মাধুরী মিশিয়ে পার্লামেন্টের বিরোধী দল বানিয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘আদালত কিংবা নির্বাচন কমিশন সরকারের মাইক্রোফোন হিসেবে কাজ করছে।’

বিএনপি, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি দলের বিষোদগারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “সব তাদের হওয়ার পরও প্রতিদিন তাদেরকে কেন বিএনপির বিরুদ্ধে বলতে হচ্ছে? কেন স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে হচ্ছে? কেন ‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলছে অব্যাহত ষড়যন্ত্র? কেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চলছে প্রতিনিয়ত কুৎসা রটানো?”

এসব প্রশ্নের জবাব নিজেই জানালেন রিজভী, ‘কারণ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অর্জনে বিএনপির যে অবদান আছে, সেটি আওয়ামী লীগের নেই। সেই অনুশোচনায় কাদের সাহেবরা ফ্যাসিবাদ কায়েম করে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে নিশিদিন অশ্রাব্য মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছেন।’

সরকার আইন-প্রশাসন ও আদালতকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতাকে হরণ করছে জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘তবে সরকার জবরদস্তিমূলকভাবে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে যতই নিজেদের সাফল্য গাঁথা প্রচার করুক জনগণ এসব বিশ্বাস করে না। জনগণ অবশ্যই এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

তিনি বলেন, বিশ্বের দেশে দেশে জনবিচ্ছিন্ন কর্তৃত্ববাদী ভোটারবিহীন সরকারের অবস্থা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মতো। গুম, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, জুয়া-জোচ্চুরি চালিয়ে রাষ্ট্রে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনগণকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করে। এ জন্য তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রাইভেট বাহিনীতে পরিণত করে জনগণকে বন্দি করে রাখার নানা কৌশল অবলম্বন করে।

বিএনপির এই নেতার মতে, দেশে দুটি ভয়াবহ দুর্যোগ চলছে। একটা হচ্ছে আওয়ামী দুর্যোগ, আরেকটা হচ্ছে করোনা দুর্যোগ। এই দুই মহাদুর্যোগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করছে এক অকল্পনীয় ক্রান্তিকাল। সেজন্য দেশে রাজনীতি নেই, গণতন্ত্র নেই, চিকিৎসা নেই, মানুষের মনে সুখ নেই, অর্থনীতি সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত।

‘আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই-জনগণের কাছে শাক দিয়ে মাছ ঢেকে লাভ নেই। সরকার নিজের গর্ত নিজেই খুঁড়ছে। এই সরকার বেশি দিন টিকে থাকবে না। পৃথিবীতে কোন ফ্যাসিবাদ টিকে থাকেনি। এই নির্দয় ফ্যাসিবাদী সরকারও টিকবে না। জবরদস্তি করে জনগণের ঘাড়ে চেপে বসে থাকার দিন শেষ হবে অচিরেই।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর