বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৃপায় খালেদার মুক্তি নিয়ে মানবাধিকারের প্রশ্ন কেন: হানিফ

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৩:৩৬

‘বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কায়েদি। তার মুক্তির জন্য জনগণ তো দূরের কথা বিএনপি নেতাকর্মীরাই রাস্তায় নামেনি। কারণ তারা জানে, তাদের নেত্রী ও তার ছেলে তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপায় বেগম জিয়া বাইরে আছেন। এরপরেও তারা কোন মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে?’

বেগম খালেদা জিয়া সরকারের কৃপা নিয়ে কারাগারে বাইরে আছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, এরপরেও বিএনপি কোন মুখে মানবাধিকারের কথা বলে।

কুষ্টিয়া মুক্তদিবস উপলক্ষে শুক্রবার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‌্যালে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

আগের দিন রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারকে একদিন না একদিন জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিনা দোষে সরকার আটকে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।

এর জবাবে হানিফ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কায়েদি। তার মুক্তির জন্য জনগণ তো দূরের কথা বিএনপি নেতাকর্মীরাই রাস্তায় নামেনি। কারণ তারা জানে, তাদের নেত্রী ও তার ছেলে তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপায় বেগম জিয়া বাইরে আছেন। এরপরেও তারা কোন মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে?’

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাদণ্ড হয়েছে সাত বছরের। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের নিষ্পত্তি এখনও হয়নি।

বিএনপি আইনি লড়াইয়ে তাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে না পারার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আর প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করিয়ে মার্চের শুরুতে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান বিএনপি খালেদা জিয়া। পরে সাময়িক মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।

ফখরুলের মানবাধিকার বিষয়ে বক্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন, ‘এই দেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। পঁচাত্তরে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচার না করে তাদেরকে পুরস্কৃত করে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন খুনি জিয়াউর রহমান। এরপরেও তারা কোন লজ্জায় মানবাধিকারের কথা বলে জাতি জানতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা ধর্মের দোহাই নিয়ে গণহত্যা, নারী নির্যাতন করেছিল সেই যুদ্ধাপরাধী, দালাল, রাজাকারদের জেল থেকে মুক্ত করে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়।’

এই বিএনপির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ধর্মভিত্তিক অপশক্তি সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মন্তব্য করে হানিফ বলেন, ‘আমরা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেব। যুদ্ধাপরাধীদের মত সব স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য শাহীনুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর