আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ‘যারা কুসংস্কার এবং ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যাচ্ছে তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সব মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাইতে হবে। তুলতে হবে জাতীয় পতাকা। এটা সংবিধানে আছে। এদেশে বাস করতে হলে সংবিধান মানতে হবে।’
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় কুষ্টিয়া পৌরসভা অডিটোরিয়ামে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও নাশকতামূলক কার্যক্রম প্রতিহত করার লক্ষ্যে আলেমদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি ভাস্কর্য বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘যখন জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য হয়েছিল তখন তো আপনারা বিরোধিতা করেননি। শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিলে আপনারা ফতোয়া দিয়ে বলেন নারী নেতৃত্ব হারাম, আর বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব আপনাদের ভাল লাগে। এই ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা আজকে প্রকৃত আলেমদের সমাজের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিয়েছে।’
হানিফ বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর ইসলামের জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে গেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু মদ, জুয়া, হাউজি নিষেধ করলেন। আর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তা চালু করে দিলেন। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ে দিয়েছে এই সরকার। এর পরেও বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে যদি কেউ ইসলাম বিরোধী বলেন তবে তারাই সবচেয়ে বড় মোনাফেক ও ইসলাম বিরোধী।’
সভায় জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য আ.ক.ম সারোয়ার জাহান বাদশা, কুমারখালী খোকসা আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান প্রমুখ।