বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য না বানাতে তুরস্ককে জামায়াতের আকুতি

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ২২:২৯

‘আমরা বিশ্বাস করতে চাই না যে, তুরস্ক সরকার এমন এক সময় এই উদ্যোগ নিচ্ছে যখন বাংলাদেশের আলেম ওলামা ও সর্বস্তরের আপামর মুসলিম জনতা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’

তুরস্কে ইসলামপন্থি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ করবে- এই তথ্যে হৃদয় ভেঙে গেছে জামায়াতে ইসলামীর।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা রুখতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষে অস্ত্র ধরা দলটি বলেছে, এই ভাস্কর্য নির্মাণ হলে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের জনগণ আহত হবে।

দলটির আমির শফিকুর রহমান এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছেন জানিয়ে এক বিবৃতিতে ভাস্কর্যটি নির্মাণ না করার আকুতি জানিয়েছেন তুরস্কের প্রতি।

ঢাকার ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে ধর্মভিত্তিক কিছু দলের বিরোধিতার মধ্যে গত ২ ডিসেম্বর ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান দেখা করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এরদোয়ান সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হবে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য। অন্যদিকে ওই দেশের সরকারের অর্থায়নে ঢাকায় নির্মিত হবে আধুনিক তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য।

গত ২ ডিসেম্বর তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত জানান, এরদোয়ান সরকার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ

মুসলিম বিশ্বে গত কয়েক বছরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তার সরকার যখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করছে তখন বাংলাদেশে ভাস্কর্যবিরোধীদের কটাক্ষ করে নানা বক্তব্য আসছে।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বানাচ্ছে এরদোয়ান সরকার

তুরস্ক তার সিদ্ধান্ত জানানোর চার দিন পর রোববার গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে চাই না যে, তুরস্ক সরকার এমন এক সময় এই উদ্যোগ নিচ্ছে যখন বাংলাদেশের আলেম ওলামা ও সর্বস্তরের আপামর মুসলিম জনতা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘ফিলিস্তিনসহ সারাবিশ্বের মজলুম মুসলমানদের পক্ষে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় অবস্থান একেবারেই সুস্পষ্ট ও বলিষ্ঠ। তুরস্ক তাদের অবদান ও কার্যক্রমের মাধ্যমে কার্যত মুসলিম বিশ্বের জনগণের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। এমনি অবস্থায় ভাস্কর্য নির্মাণের এই তথ্যটি আদৌ যদি সঠিক হয় তাহলে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের জনগণ আহত হবে।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আশা করি মুসলিম বিশ্বকে আহত করে এমন কাজ তুরস্ক সরকার করবেন না এবং বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন।’

ইসলামী খিলাফতের সবশেষ রাষ্ট্র তুরস্কে মনিষীদের ভাস্কর্য রয়েছে। এমনকি মসজিদের সামনেও আছে একাধিক ভাস্কর্য।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবশ্য আগে থেকেই তুরস্কে আছে। সে দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস স্থাপনের আগেই সেখানে স্থাপন করা হয় বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ একটি ভাস্কর্য। ২০১৭ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান ২০১৭ সালে তুরস্ক সফরে গিয়ে সেটি দেখে এসেছেন। ২ ডিসেম্বর তুরস্ক সরকার তার সিদ্ধান্ত জানানোর দিন তিনি ফেসবুকে সেটির ছবি পোস্ট করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতাকারীদের দাবি, ইসলাম ভাস্কর্য অনুমোদন করে না। তবে সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি মাওলানা জিয়াউল হাসান সংবাদ সম্মেলন করে পবিত্র কোরআনের আয়াত উল্লেখ করেই বলেছেন, ইসলাম ভাস্কর্য অনুমোদন করে।

এ বিভাগের আরো খবর