হার্টে রিং পরানোর পর প্রথমবারের মতো দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিলেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। তিনি এখনও শারীরিক শক্তি পুরোপুরি ফিরে পাননি, সেটি তাকে দেখেই বোঝা যায়।
এখনও লাঠি হাতে নিয়ে হাঁটেন রিজভী। রোববার রাজধানীতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের উদ্যোগে মোহাম্মদপুর জহুরী মহল্লায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের মধ্যে ত্রাণ ও শীতবস্ত্র বিতরণের সময় এভাবেই তিনি উপস্থিত হন।
প্রায় দেড় মাস চিকিৎসা নেয়ার পর গত ২৪ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন রিজভী। এরপর আর রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য ঘরের বাইরে আসেননি তিনি।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীর হাতে রোববার জামা কাপড় ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন রিজভী।
বিএনপি নেতার অভিযোগ, বস্তিতে আগুনের পেছনে জড়িত সরকার।
তিনি বলেন, ‘আজকে চারদিকে শুধু আগুন। মানুষের বাড়িঘর জ্বলছে। ঢাকার বস্তি গ্রাস করার জন্য, দখল করার জন্য ক্ষমতাসীনরা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
‘গোটা জাতির নিরাপত্তা নাই, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নাই; বাড়িঘরের নিরাপত্তা নাই। বেঁচে থাকার নিরাপত্তা নাই...ঢাকার অনেক বস্তি ক্ষমতাসীনরা আগুন লাগিয়ে দখল করে নিয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘করোনা হুঁ হুঁ করে বাড়ছে। আজকে হাসপাতালে বেড নেই। রোগীরাও চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে; করোনায় মৃত্যুবরণ করছে। সরকারের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। করোনার মধ্যে সরকারের লোকেরা আগুন দিয়ে মানুষকে গৃহহীন করছে।’
গত ২৪ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে জহুরী মহল্লায় আগুনে দুইশর মতো ঘর পুড়ে যায়
উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতি চলছে অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের কথা বলেন। কোনও স্বৈরাচারের উন্নয়নের কথায় জনগণের উন্নয়ন হয় না। জনগণের কল্যাণ বয়ে আনে না। মন্ত্রী-এমপিরা যখন উন্নয়নের কথা বলেন তখন বুঝতে হবে হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির ষড়যন্ত্র চলছে।’
এ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে মানুষের শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি লিটন মাহমুদ বাবু, আমিনুর রহমান লিটন, এইচ এম মোজাম্মেল, মাজহারুল ইসলাম রাসেলসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।