রাতের আঁধারে যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙেছে তাদেরকে দিনের আলোতে সামনে আসার চ্যালেঞ্জ দিয়েছে ছাত্রলীগ।
সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন বিজয়ের মাসে জাতির পিতার ভাস্কর্য যারা ভেঙেছে তারা অবশ্যই পাকিস্তানপন্থি।
রাজধানীর ধোলাইপাড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল ও সংগঠনের বিরোধিতার মধ্যে গত রাতে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে। দুই যুবক রাত দুইটার দিকে এই কাজ করেছেন বলে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে।
ধোলাইপাড়ে ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহ ধরেই রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করে আসা সরকারি দল ও সরকার সমর্থক সংগঠনগুলোকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে কুষ্টিয়ার ঘটনা।
শনিবার সন্ধ্যার পর রাজধানীতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিক্ষোভ করে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সামনে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেলে করে মশাল মিছিল নিয়ে বের হন নেতা-কর্মীরা।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের সমাবেশ থেকে রোববার সারা বাংলাদেশের বিক্ষোভের ডাক দেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান জয়। তিনি বলেন, ‘যারা রাতের অন্ধকারে চোরের মতো জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙেছে, দিনের আলোয় পারলে সামনে আসেন। যদি আপনাদের এত ঈমানি শক্তি থাকে।’
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান জয়
ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতাকারী হেফাজত নেতা মামুনুল হককে তিনি বলেন, ‘কান ধরে উঠবস করেও কিন্তু দিশা পাবেন না। একজনের পিঠের চামড়াও কিন্তু থাকবে না।’
জয় বলেন, ‘ওরা ফেসবুকে বড় বড় কথা বলে। সাহস থাকলে সামনে আসুন। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি, একাই চলি, আমি একাই একশ। ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী একাই একশ।’
বিজয়ের মাসে জাতির পিতার ভাস্কর্যের অবমাননা পাকিস্তানপন্থি ছাড়া আর কারও কাজ না উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘আপনার আপনাদের পেয়ারের পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। পাকিস্তানের ভালোবাসা এখনো ছাড়তে পারে নাই।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এর আগে আমরা প্রতিবাদ করেছি। এবার প্রতিরোধের সময় এসেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ। মিছিলটি রাজধানীর জিরো পয়েন্ট ও গুলিস্তানের আশেপাশের সড়ক ঘুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।