বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফের আলোচনায় ‘নিউক্লিয়াস’

  •    
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ২৩:৪৬

এক অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদ ‘নিউক্লিয়াসে’ শেখ মনির নাম না আসায় খেদ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে অনেকে কক্ষচ্যুত হয়েছে।’ শেখ সেলিম বলেছেন, ‘অনেকে এখন গল্প বলে- নিউক্লিয়াস করছে বলেই দেশ স্বাধীন হইছে। তারা সব কয়টা ভণ্ড।’

যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ৮১তম জন্মবার্ষিকীর এক আলোচনা সভায় ‘নিউক্লিয়াসে’ তার নাম নেই কেন- সে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা।

শুক্রবার যুবলীগের আয়োজনে রাজধানীয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই আলোচনা সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্ষমতাসীন দলটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ; প্রধান বক্তা ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তারা দুই জনই অনলাইনে যুক্ত ছিলেন অনুষ্ঠানে।

বলা হয়, পূর্ব বাংলাকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নিউক্লিয়াস’। প্রতিষ্ঠাকালে এর সদস্য ছিলেন সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদ।

তোফায়েল আহমেদ ‘নিউক্লিয়াসে’ শেখ ফজলুল হক মনির নাম না আসায় খেদ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে অনেকে কক্ষচ্যুত হয়েছে।’

শেখ সেলিম বলেন, ‘অনেকে এখন গল্প বলে- নিউক্লিয়াস করছে বলেই দেশ স্বাধীন হইছে। তারা সব কয়টা ভণ্ড।’

এরপর মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর নেতৃত্বদানকারী চার জনের একজন সিরাজুল আলম খানের নাম উল্লেখ করেন তিনি।

মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি। অন্য দুই শীর্ষ নেতা ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ মনির ছেলে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ৮১তম জন্মবার্ষিকীর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

নিজের বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তোফায়েল আহমেদ নিউক্লিয়াসের প্রসঙ্গে টেনে বলেন, ‘মনি ভাইয়ের মতো নেতাকে বাদ দিয়ে কেউ কেউ বলে যে, সেখানে ৩ জন ছিল। আরে …। মনি ভাই তো সবার বড়।

‘আমরা যে মুজিব বাহিনীর চার জন প্রধান ছিলাম, তাতে সবচেয়ে বড় ছিল মনি ভাই। তার নির্দেশ ও আদেশ সেটিই ছিল আমাদের কাছে সবচেয়ে বড়। তার ওপর আমরা কেউ কথা বলতাম না। তিনি সব সময় সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত দিতেন।’

এর আগে স্বাধীনতার পূর্বের ও পরের শেখ মনির রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করেন তার সহকর্মী তোয়ায়েল আহমেদ। 

২০১৯ সালের জুলাই মাসে শামসুদ্দিন পেয়ারার লেখা ‘আমি সিরাজুল আলম খান: একটি রাজনৈতিক জীবনালেখ্য’ বই প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বইটিতে নিউক্লিয়াস নিয়ে সিরাজুল আলম খানের যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তার বিরোধিতা করেছিলেন তোফায়েল আহমেদ।  

আলোচনা সভায় শেখ সেলিম বলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনে সবাই গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু ১৯৬২ সাল থেকে ৬৯ সালের ভেতর একটা লোক গ্রেফতার হয়নি। সেটা হলো সিরাজুল আলম খান।’

এ সময় তিনি কী কারণে গ্রেফতার হননি সে প্রশ্ন রাখেন শেখ সেলিম। একই সঙ্গে বলেন, সিরাজুল আলম খান কেন গ্রেফতার হয়নি- সে রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি।

শেখ সেলিম বলেন, ‘মনি ভাইকে ধাওয়া দিয়া গ্রেফতার করে। আর সিরাজুল আলম খান সে সময় ইকবাল হলে সন্ধ্যার সময় এসে আড্ডা মারে। আমরা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই পড়ি।’  

জাসদের তাত্ত্বিক গুরু হিসেবে পরিচিতি সিরাজুল আলম খান।

শেখ মনিকে নিয়ে আলোচনা সভায় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাসদের বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র নিয়েও প্রশ্ন রাখেন তার ছোট ভাই শেখ সেলিম। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল বলেই মনে করেন তিনি।

বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পরই বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র শেষ হয়ে যায়। এখন তাদের বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কোথায়?’

এ বিভাগের আরো খবর