ভাস্কর্যবিরোধিতার নামে সহিংসতা হলে তা প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা সতর্ক আছে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আন্দোলনের নামে আর আগুন সন্ত্রাস করতে দেয়া হবে না। সরকার এদের কঠোর হাতে দমন করবে।
‘ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন তাদের অনেকেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। সেইসব দলের নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনও আছে। তাই তাদের বক্তব্য রাজনৈতিক। ইসলাম ধর্ম কারো কাছে লিজ দেয়া হয়নি। ’
বিএনপি ভাস্কর্যবিরোধীদের ইন্ধন দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘করোনার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আর কোনো দল এভাবে পাশে ছিল না।
‘মানুষের সেবা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ছয়শ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপির প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন আর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমালোচনার বাক্স খুলে বসেছে। রাজনীতি মানে মানুষের সেবা করা। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা এ মন্ত্রই বুকে ধারণ করে, লালন করে।’
করোনার শুরু থেকেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভীতি ও গুজব ছড়ানো হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এসবের ভুল প্রমাণ করে শেখ হাসিনা দক্ষ হাতে করোনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
‘সারা বিশ্বেই যখন জিডিপি মাইনাস, সেখানে বাংলাদেশ ইতিবাচক জিডিপিতে শীর্ষে অবস্থান করছে। এগুলো অনেকেরই সহ্য হয় না।’
রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছে ধর্মভিত্তিক বেশ কয়েকটি সংগঠন। প্রথমে এই ইস্যুতে মাঠে নামে চরমোনাইয়ের পীরের দল ইসলামী আন্দোলন।
এ ছাড়া ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনের আমির জুনাইদ বাবুনগরী বলেছেন, ভাস্কর্য নির্মাণ হলে তারা টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেবেন। সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ভাস্কর্য নির্মাণ দেশে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি আবার তৈরি করা হবে।
শুরুতে নীরব থাকলেও গত বাবুনগরীর হুমকির পর থেকে মুখ খুলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
এই ইস্যুতে রোববার সারা দেশে একযোগে কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। ওই দিনই বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে যুবলীগ।