বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাস্কর্যবিরোধীদের কঠোর হস্তে দমন: কাদের

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২০ ২০:৩৬

‘একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী শিল্পকলার শক্তিশালী মাধ্যম ভাস্কর্যের বিরোধীতায় নেমেছে। তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে বিদ্বেষ ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে। অন্য কোন পথ ও ইস্যু না পেয়ে ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে এনে ধর্মীয় সহনশীলতা বিনষ্টের চেষ্টা চলছে। সরকার এ ধরনের যে কোন অপচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করবে।’

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা কঠোর হাতে দমনের ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো বক্তব্যই বরদাশত করা হবে না।

সোমবার বিকাল শিল্পকলা একাডেমির ২২তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাদের একথা বলেন। এতে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বক্তব্য দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির উপর চ্যালেঞ্জ।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী শিল্পকলার শক্তিশালী মাধ্যম ভাস্কর্যের বিরোধিতায় নেমেছে। তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে বিদ্বেষ ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে।

‘অন্য কোন পথ ও ইস্যু না পেয়ে ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে এনে ধর্মীয় সহনশীলতা বিনষ্টের চেষ্টা চলছে। সরকার এ ধরনের যে কোন অপচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করবে।’

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিক্ষোভ

 

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছে ধর্মভিত্তিক বেশ কয়েকটি দল।

প্রথমে এই ইস্যুতে মাঠে নামে চরমোনাইয়ের পীরের দল ইসলামী আন্দোলন। তারা হুমকি দেয় ভাস্কর্য নির্মাণ হলে তা বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়া হবে। যদিও এখন এই ইস্যুতে এখন চুপ আছেন নেতারা।

তবে এরপর বিরোধিতায় নামে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনের আমির জুনাইদ বাবুনগরী বলেছেন, ভাস্কর্য নির্মাণ হলে তারা টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেবেন।

সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক হুমকি দিয়েছিলেন, ভাস্কর্য নির্মাণ হলে তিনি দেশে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি আবার তৈরি করবেন।

অবশ্য এই বক্তব্য দিয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়া মামুনুল সংবাদ সম্মেলনে এসে সুর নরম করেছেন। বলেছেন, ভুল তথ্য প্রচার করে তাকে প্রশাসনের মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি ভাস্কর্যের বিরোধী হলেও এ নিয়ে কোনো ‘যুদ্ধে যাবেন না।’

শুরুতে নীরব থাকলেও গত শুক্রবার বাবুনগরী হুমকি দেয়ার পর থেকে মুখ খুলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।

রোববার এই ইস্যুতে সারাদেশে একযোগে কর্মসূচি পালন করে লাখ লাখ মানুষকে রাজপথে নিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

সরকারি দল নীরবতা ভাঙার পরে অবশ্য ভাস্কর্যবিরোধীরা নতুন করে কোনো বক্তব্য দিচ্ছে না।

সরকারের সরলতাকে দুর্বলতা না ভাবার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,  ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংবিধান ও রাষ্ট্রবিরোধী কোন বক্তব্য বরদাশত করা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে কোন আলোচনা হতে পারে না। এ বিষয়ে কোন আপোষ নেই।’

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে এই বেদিতে হবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। ছবি: নিউজবাংলা

 

শিল্পকলায় বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে কাদের বলেন, ‘তিনি ছিলেন রাজনীতির কবি, বক্তৃতায় - বাগ্মিতায় তিনি ছিলেন অমর। তিনি ছিলেন বাঙালির সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতির ভাঙ্গাসেতু মেরামত করে তৈরি করেছিলেন অটুট সেতুবন্ধন।’

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ও শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম।

এ বিভাগের আরো খবর