মাদ্রাসায় যৌন নিপীড়নে ধর্মীয় নেতাদের সম্মান কমছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ভাস্কর্য ইস্যুতে ধর্মভিত্তিক দলের নেতারা অহেতুক কথা বলছেন বলেও মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছিলেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। ধর্ষণ-শিশু নির্যাতন ও ‘বিচারহীনতার’ এই কর্মসূচির আয়োজন করে সাংবিধানিক অধিকার ফোরাম নামে একটি সংগঠন।
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আজকে মৌলভী সাহেবেরা কেন যৌন নির্যাতনের সাথে যুক্ত হবেন? এতে সম্মান কমছে।’
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘আলেমগণ, আপনারা আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। আপনাদের দায়িত্ব হবে মানবিক। অহেতুক বিতর্ক করে ইসলামকে ছোট করবেন না। অকারণে আওয়াজ তুলবেন না। মূর্তি, এটা একটি অহেতুক বিতর্ক।’
মাদ্রাসায় ছেলে শিশুদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। প্রায়ই এই অভিযোগে গ্রেফতার হচ্ছেন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকরা। আগে চুপ করে থাকলও নির্যাতিত শিশুর পরিবার থেকে মামলা করার প্রবণতাও বেড়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে ধর্মভিত্তিক দলগুলো মাঠে নামার পর তাদের বিরোধীরা মাদ্রাসায় যৌন নিপীড়নের বিষয়টি সামনে তুলে আনছেন।
ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতার প্রতিবাদে রোববার দেশজুড়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মসূচিতেও হেফাজত নেতা জুনাইদ বাবুনগরী এই বিষয়ে চুপ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের আয়োজনে বাবুনগরীকে উদ্দেশ্য করে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জুয়েল হোসেন বলেন, ‘কিছু কিছু স্থানে ইসলামের নাম বিক্রি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মাদ্রাসায় আমাদের সন্তানদের বলাৎকার করা হয়। কই তখন তো আপনারা প্রতিবাদ করতে আসেন না।’
সমালোচনা থাকলেও ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নেতারা অবশ্য এই বিষয়টি নিয়ে কখনও কোনো কথা বলেননি। এমনকি মামলায় গ্রেফতার হলে শিক্ষককের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়ার উদাহরণও নেই।