বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশে থাকতে হলে জিয়াকে মানতে হবে: গয়েশ্বর

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:১৯

‘আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করব। যাদের হাতে সাইনবোর্ড খোলা হচ্ছে তাদেরকেই সাইনবোর্ড লাগাতে হবে এই বাংলাদেশে বাস করতে হলে, ঢাকা শহরে বাস করতে হলে।’ 

বাংলাদেশে থাকতে হলে জিয়াউর রহমানকে মানতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পুরান ঢাকায় জিয়াউর রহমানের নামে করা স্কুলের নাম পাল্টানোয় শাস্তি হবে জানিয়ে তার জন্য প্রস্তুত থাকতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

জিয়াউর রহমানের নামে হাত দিলে পরিণতি ভালো হবে না বলে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘এই নাম যত স্পর্শ করবেন ততো হাত ভারী হবে। তার শাস্তি ভোগ করার জন্য আগামী দিন প্রস্তুত থাকতে হবে।’

পুরান ঢাকার বংশালে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পাল্টে পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয় করেছে সিটি করপোরেশন।

রোববার এই স্কুলের ফটকে নাম কালি দিয়ে মুছে দিয়েছেন প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার অনুসারী বিএনপি নেতারা।

জিয়াউর রহমানের নাম পাল্টে নতুন নামে স্কুলের ফটকে কালি দিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা

 

নাম পাল্টানোর প্রতিবাদে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি।

জিয়াউর রহমানকে ‘সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা’ আখ্যা দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘তার নাম মোছা ইতিহাসকে বিকৃত করার অপচেষ্টা। এই কাজ করে জনগণের হৃদয়ে যে আঘাত করছেন, এই আঘাতের পাল্টা আঘাত পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে জিয়াউর রহমানের নাম মোছা হচ্ছে। আবার প্রতিদিন টাকা খরচ করে আপনাদের নাম টয়লেট থেকে শুরু করে পাহাড়ের চূড়ায় লেখা হচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ককে যদি মুছে ফেলতে চান, যেদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবেন না, সেদিন জনগণ শুধু আপনাদের নাম মুছবে না, সাদা চুন দিয়ে একেবারে পরিষ্কার করে ফেলবে।’

বংলাশে জিয়াউর রহমানের নামে করা স্কুলের নাম পাল্টানোর প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ

 

বংশালের স্কুলের নাম আবার জিয়ার নামে করতে হবে জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করব। যাদের হাতে সাইনবোর্ড খোলা হচ্ছে তাদেরকেই সাইনবোর্ড লাগাতে হবে এই বাংলাদেশে বাস করতে হলে, ঢাকা শহরে বাস করতে হলে।’ 

বিএনপি নেতা বলেন, ‘ইচ্ছা করলেই জিয়াউর রহমানের নাম মোছা যায় না। কারণ জিয়াউর রহমানের নাম ও তার ছবি স্বাধীনতাকামী, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, দেশপ্রেমিক জনগণের হৃদয়ে আঁকা। এই ছবি ছিড়ে ফেলা যায় না, মুছে ফেলা যায় না। কারণ এটা হৃদয়ে লেখা, কালিতে লেখা নয়।’

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বানালে আপত্তি নেই জানিয়ে ১৯৭৫ সালে তাকে হত্যার পর যারা নিশ্চুপ ছিলেন তাদেরকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গয়েশ্বর।

প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, ‘আপনার পিতার লাশ পড়ে থাকা অবস্থায় লুঙ্গি পরে দেশ ছেড়ে বিদেশ আশ্রয় নিল, তার সংখ্যা পাঁচ হাজারের মতো, এইসব বেঈমান কাপুরুষদের  ব্যবহার করে আপনি যা খুশি করবেন, সেটা মানানসই কতটুকু আপনি নিজেই বিবেচনা করবেন।

‘যারা গায়েবি জানাজা পর্যন্ত পড়লো না তাদের কি অধিকার আছে এই নেতার নাম উচ্চারণ করার? তাদেরকে পুরস্কৃত কেন আপনি করেন?’- প্রশ্ন রাখেন গয়েশ্বর।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘শেখ মুজিবকে আমরা অপমান করি না, তার জায়গা ইতিহাসে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে। তার যতটুকু অবদান আছে সেটা আমরা স্বীকার করব, এটাই নিয়ম। কিন্তু আপনার বাবার সঙ্গে যারা বেঈমানি করেছে তাদের পুরস্কৃত করবেন না।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এর সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের যুগ্নমহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর