রাজধানীতে দুই দিনে তিনটি বস্তিতে আগুনের ঘটনায় রহস্য আছে বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে একমত ওবায়দুল কাদের।
তবে ক্ষমতাসীন দলের নেতা কটাক্ষ করে বলেছেন, এই রহস্যে হাত থাকতে পারে তাদেরই যারা আন্দোলনের সময় ‘আগুন সন্ত্রাস’ চালিয়েছে।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
আগের দিন রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, রাজধানীতে এক সপ্তাহে তিনটি বস্তিতে আগুন রহস্যজনক।
‘ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক তো বটেই। তবে এ রহস্যের পিছনে কারা আছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
‘দেশের শান্তি বিনষ্টের কোনো ষড়যন্ত্র অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আছে কি না সেটা তদন্তের পরে বেরিয়ে আসবে।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এই ঘটনা স্বাভাবিক নাকি নাশকতা এবং এর সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের কাউকে রেহাই দেয়া হবে না।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি নিজেরা আগুন সন্ত্রাস করে সরকারের ওপর দোষ চাপায়। কাজেই অগ্নিসংযোগ ঘটনাও তারা যত দোষ নন্দ ঘোষের ওপর চাপানোর পুরানো অভ্যাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটির যৌথ উদ্যোগে চিকিৎসকদের মধ্যে উন্নতমানের এন-৯৫ ও সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে করোনার টিকা আসা মাত্রই বাংলাদেশের জনগণ যাতে সহজেই পায়, সে ব্যাপারে সরকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
কোরোনা গতি প্রকৃতি কোন দিকে যায় বলা মুশকিল- এমন মন্তব্য করে সড়ক মন্ত্রী বলেন, ‘তবুও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছে।’
মহামারি সত্বেও বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছা শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের প্রমাণ বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
বলেন, ‘একটি অশুভ মহল বৈশ্বিক মহামারির এই মানবিক সংকটকে পুঁজি না করলে পরিস্থিতি মোকাবেলা আরও সহজতর হতো এবং জনগণের জানমালের ক্ষয় ক্ষতি অনেকটা কম হতো।’
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা এবং উপ- দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।