বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনচেতা। তারা ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের কর্তৃত্ব মানেনি। এ সরকারকেও তারা মেনে নেবে না।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, ‘দেশের জনগণই কোনো না কোনোভাবে এই কর্তৃত্ববাদী শাসন উচ্ছেদ করবে। গণতন্ত্র ফিরে আসবে এবং সে সময়ের জন্য খুব বেশি দেরি করতে হবে বলে আমার মনে হয় না।’
সরকার যেটা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন সেটাই মিডিয়ার সামনে আনে বলে অভিযোগ করেন কৃষক দলের আহ্বায়ক।
তিনি বলেন, ‘তাদের (আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন) একটাই উদ্দেশ্য হচ্ছে বিএনপির কীভাবে ক্ষতি করবে, নিশ্চিহ্ন করবে, হেয় প্রতিপন্ন করবে এবং বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করবে। তবে গায়ের জোরে তাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।
‘সরকার করোনায় সচেতনতামূলক কতটুকু সেবা দিয়েছে বা কাজ করেছে, আমার জানা নেই। কারণ টেলিভিশন ও পত্রিকার বাইরে এই ভয়াবহ করোনায় সরকারের উদ্যোগ শুধু মুখে মুখে আছে, বাস্তবে তেমন একটা দেখা যায় নাই।’
সরকার সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে মন্তব্য করে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানই আজ কাজ করছে না। না প্রশাসন, না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, না বিচারালয়, না নির্বাচন কমিশন; সবগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে সরকার। কর্তৃত্ববাদী শাসন গণতন্ত্রকে একেবারে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।
সেলিমা রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আজকে অসহায় অবস্থায়। আপনারা দেখেছেন, করোনাকালীন সময়ে হাসপাতালগুলোতে কী অবস্থা হয়েছে, সেখানে ব্যবসায়ী সাহেদ, ডা. সাবরিনার মতো ছাত্রলীগ-যুবলীগের ব্যবসায়ীরা বগল বাজিয়েছিল, টাকা লুটপাট করেছে, লুটের রাজ্যে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছে।
‘বর্তমান সরকার একটা অপদার্থ সরকার, যে কিনা সাহায্য তো করেইনি জনগণকে, বরং তারা এই করোনাকে বাণিজ্য হিসেবে নিয়ে ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির ব্যবস্থা করে দিয়েছে।’