বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচার বিভাগে আশার আলো: বিএনপির ইশরাক

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৭:০২

‘এখনও বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে সৎ, ন্যায়পরায়ণ মানুষেরা রয়েছেন। আজকে যিনি বিচারক ছিলেন তিনি সৎ ও ন্যায়পরায়ণ পথেই হেঁটেছেন বলে আমি মনে করতে চাই। তিনি সৎ সাহস নিয়ে এই রায়টি দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা আশাবাদী দেশে যে, অপশাসন চলছে আগামীতে সেখান থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারব।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি মামলায় খালাস পেয়ে বিচার বিভাগ নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

ঢাকার প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বলেন, ‘বিচার বিভাগ নিয়ে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। এই রায়ে আমরা আশাবাদী। এর মাধ্যমে দেশে যে অপশাসন চলছে আগামীতে সেখান থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারব।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নন সাবমিশন মামলায় খালাসের পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।

সম্পদের হিসাব বিবরণী না দেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের করা একটি মামলায় ১০ বছর পর খালাস পেয়েছে ইশরাক।

২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক হোসেনের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক। ইশরাক সে সময় দেশের বাইরে ছিলেন। সম্পদের হিসাব জমা না দেয়ায় ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।

সোয়া ১০ বছর পর ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম সোমবার এক আদেশে ইশরাককে নির্দোষ ঘোষণা করেন।

রায় শুনতে দুপুরে আদালতে যান ইশরাক। বিচারক আদেশ দেয়ার পর তিনি বলেন, ‘এখনও বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে সৎ, ন্যায়পরায়ণ মানুষেরা রয়েছেন। আজকে যিনি বিচারক ছিলেন তিনি সৎ ও ন্যায়পরায়ণ পথেই হেঁটেছেন বলে আমি মনে করতে চাই। তিনি সৎ সাহস নিয়ে এই রায়টি দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা আশাবাদী দেশে যে, অপশাসন চলছে আগামীতে সেখান থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারব।’

খোকাপুত্র বলেন, ‘আমি বলব, আজকে জনগণের বিজয় হয়েছে। দেশবাসীর বিজয় হয়েছে দলমত নির্বিশেষে। আমরা একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।’

বিএনপির অভিযোগ, বিচার বিভাগ সরকারের নিয়ন্ত্রণে। আর বিরোধী দলকে দমনের হাতিয়ার হিসেবে একে ব্যবহার করছে সরকার।

ইশরাক বলেন, ‘আমরা গত ১৩ বছর ধরে বলে আসছি বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করে ফেলা হয়েছে, বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে এবং বিচার বিভাগকে একটি রাজনৈতিক বিরোধী মত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

‘যে জায়গায় বিচার বিভাগকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজনীতিকরণের মাধ্যমে, সেখানে আমরা আশাবাদী। এই রায়ের মাধ্যমে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগকে ন্যায়বিচারের সেই জায়গায় আবার নিয়ে যেতে পারব।’

বেলা দুইটার পর এই মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। আগেই হাজির হন ইশরাক। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়ান।

এ সময় বিচারকের নির্দেশে আদালতের একজন বেঞ্চ সহকারী কাঠগড়ায় একটি টোল এনে তাকে বসতে দেন।

প্রায় আধা ঘণ্টা রায় পড়েন বিচারক। এ সময় ইশরাক বসেই রায় শুনেন।

রায়ে বিচারক বলেছে, ‘দুদক সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য যে নোটিশ পাঠায় রমনা থানাধীন ঢাকার তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সরকারি বাসভবনে। ওই সময় খোকা বা ইশরাক কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। সাক্ষ্যপ্রমাণে বলা হয়, ওই সময় ঘরের বাহিরে দেয়ালে নোটিশটি টানিয়ে দিয়ে তা জারি করা হয়।’

রায়ে বলা হয়, ‘আসামিপক্ষের দাখিলকৃত দলিলাদী অনুযায়ী সাদেক হোসেন খোকার স্থায়ী বাড়ি হচ্ছে গোপীবাগে। সেখানে কোনো নোটিশ পাঠানো হয়নি। তাছাড়া তার ছেলে ইশরাক যে সরকারি বাড়িতেই থাকতেন সেরকম কোনো প্রমাণও রাষ্ট্রপক্ষ দেখাতে পারেনি।

‘ওই সময় ইশরাক লন্ডনে পড়াশুনা করছিল বলে আসামিপক্ষ প্রমাণ দাখিল করেছে। ইশরাকের লন্ডনের ঠিকানায়ও কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি। তাই এই নোটিশটি যথাযথভাবে জারি করা হয়নি বলে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি ইশরাক হোসেনকে অত্র অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হলো।’

এ বিভাগের আরো খবর