বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭৫ এর পর সবচেয়ে জনপ্রিয় শেখ হাসিনা: কাদের

  •    
  • ২০ নভেম্বর, ২০২০ ১৪:০০

‘একজন শিশুও তার (শেখ হাসিনা) কাছে চিঠি লিখতে পারে। এর প্রেক্ষিতে পটুয়াখালিতে ব্রিজ নির্মাণের নির্দেশনা দেয়া হয়। শেখ হাসিনা অসহায়দের বুকে জড়িয়ে ধরে স্বস্তি পান।’

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় রাজনীতিক বলে দাবি করেছেন ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

জনগণের মনের ভাষা পড়ার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের মনের কথা পড়তে পারে না, এ দাবি ঠিক নয়। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হলেন শেখ হাসিনা।’

পটুয়াখালীতে এক স্কুল ছাত্রের কাছ থেকে চিঠি পেয়ে পায়রা নদীতে সেতু নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরে কাদের বলেন, ‘একজন শিশুও তার (শেখ হাসিনা) কাছে চিঠি লিখতে পারে। এর প্রেক্ষিতে পটুয়াখালিতে ব্রিজ নির্মাণের নির্দেশনা দেয়া হয়। শেখ হাসিনা অসহায়দের বুকে জড়িয়ে ধরে স্বস্তি পান।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

 

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপি সাধারণ মানুষের মনের কথা বুঝতে পারা তো দূরের কথা, নিজের দলের নেতাকর্মীদের মনের কথাই বুঝতে পারে না।’

বিএনপির সমালোচনা কাদের বলেন, ‘তারা নিজেদের নেত্রীর মুক্তির দাবিতে একটা বড় মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি। তারা আন্দোলনেও ব্যর্থ। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা নালিশ আর প্রেস ব্রিফিংয়ের রাজনীতি শুরু করেছে।’

বিরোধীদল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় উল্লেখ করে বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগও করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। বলেন, ‘কোকোর (বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোনো) মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহমর্মিতা জানাতে খালেদা জিয়ার কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা করা তো দূরের কথা, বাসার গেট পর্যন্ত খোলেননি। সম্প্রীতি গড়তে তারা দেননি।’

দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগ স্বাধীন দেখেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও অপরাধ করে ছাড় পাচ্ছে না।

‘আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী অনেকের বিরুদ্ধেই দুদকের মামলা চলছে। এখানে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না।’

বিএনপি শাসনামলে এমনটা দেখা যায়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কি দেশে দুর্নীতি হয়নি? তাদের কয়জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? একজনকেও দেখাতে পারবে না।’

দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্তদের বিএনপির সদস্য হিসেবে রাখার সুযোগ দিয়ে দলটির গঠনতন্ত্র সংশোধন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগ নেতা।

দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হওয়ার পর গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাদ দেয় বিএনপি। ওই ধারায় বলা ছিল, স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ বা আদালতে সাজাপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজরা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হঠাৎ রাতের অন্ধকারে দলের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাতিল করে তারা কি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়?

‘এ ধারা কেন বাতিল করা হলো এর জবাব মির্জা ফখরুল কখনো দেননি। আপনারা (সাংবাদিক) তাকে জিজ্ঞাসা করবেন কেন এমনটা করা হলো।’

বর্তমান সরকারের আমলে ভোটে কারচুপি হচ্ছে বলে বিএনপির অভিযোগেরও জবাব দেন কাদের। বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করে অথচ নির্বাচনের আগে হইচই করলেও ভোটের দিন তাদের মাঠে পাওয়া যায় না।

‘ভোট কেন্দ্রে তাদের এজেন্ট পর্যন্ত থাকে না। তারা অভিযোগ করে থাকেন তাদের এজেন্টদের বের করে দেয়ার। আপনারা তো ভোট কভার করতে মাঠে থাকেন আপনারা কখনো দেখেছেন এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে?’-সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রাখেন কাদের। 

এ বিভাগের আরো খবর