জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মন্টু আর নেই। শুক্রবার ভোর চারটায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম আজম খসরু নিউজবাংলাকে বলেন, গত ২৩ অক্টোবর পড়ে গিয়ে পায়ে ব্যথা নিয়ে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। এর তিনদিন পর পরীক্ষা করা হলে শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তবে কয়েকদিন পরই তিনি করোনামুক্ত হন।
‘করোনামুক্ত হলেও তার ফুসফুসে নানা জটিলতা তৈরি হয়। এ কারণে প্রায় ১২ দিন ধরে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আজ ভোর চারটার দিকে তিনি মারা যান।’
ফজলুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ফজলুল হক মন্টুর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তার নামাজে জানাজা শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে রায়েরবাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে দাফন করা হবে।