স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার থেকে উত্তরার বাসায় তিনি কোয়ারেন্টিন শুরু করেন। আগামী ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, উত্তরার বাসায় থাকা শ্যালক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ফখরুল।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মহাসচিব স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে আছেন। তার নিকটাত্মীয় করোনায় আক্রান্ত। তাই তিনি ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল ফখরুলের। কিন্তু তিনি সশরীরে না গিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম গুলশানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ভিডিও কনফারেন্সে ফখরুল বলেন, ‘আমি দুঃখিত যে আপনাদের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি। কারণ এখন আমার বাসায় করোনা ধরা পড়েছে। তাই আমাকে ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপি মহাসচিবের শ্যালক কাজী একরামুল রশীদ ফখরুলের উত্তরার বাসাতেই থাকতেন। তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। অসুস্থ হওয়ার পর রশীদকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাই স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ফখরুলও কোয়ারেন্টিনে চলে যান।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কোভিড-১৯ এখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের সিনিয়র লিডার মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসসহ অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক নেতাকে আমরা এই করোনায় হারিয়েছি।
‘আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসান, এ রকম অনেক নেতাকে ইতিমধ্যে আমরা করোনার কারণে হারিয়েছি।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব সবাইকে, এখন একটা কঠিন সময়; একটা দুঃসময়। এই দুঃসময়ে আমাদের কিন্তু জেগে উঠতে হবে এবং জেগে উঠতে হবে মনের দিক থেকে।’