ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টি টিকে থাকবে জানিয়ে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ বা বিএনপির এক দল ঝরে যাবে।
বুধবার বনানী কার্যালয়ে এসে সিলেটের দুই শতাধিক ব্যক্তির দলে যোগদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এইচ এম এরশাদের ভাই।
সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির নেতা কুনু মিয়ার মধ্যস্থতায় ব্যবসায়ী মো. আলী হোসেন সরকার, সুধীন্দ্র শুভ্রসহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিতে যোগ দিলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে এদেশ থেকে অনেক রাজনৈতিক দল হারিয়ে গেছে। তিনটি দল টিকে রয়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। অদূর ভবিষ্যতে এখান থেকেও কেউ ঝরে পড়বে। জাতীয় পার্টি টিকে থাকতে চায়।’
রাজনৈতিকভাবে জাপা অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে দাবি করে সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগ জনগণের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে।’
জাতীয় পার্টিতে স্বাগত জানিয়ে দলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজনীতিতে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিতে হলে সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ থেকে অনেক নেতা দলছুট হচ্ছেন। কিন্তু জাপা থেকে এখন আর কেউ দলছুট হচ্ছেন না, বরং যারা চলে গিয়েছিলেন তারা আবার আসা শুরু করেছেন।’
সুশাসনের অবনতির কারণে সমাজে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা বাড়ছে দাবি করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘যার প্রভাবে সব ক্ষেত্রে দলীয়করণ ও প্রশাসনে ক্ষমতাসীনরা প্রভাব বিস্তার করে। যা এরশাদ শাসনামলে ছিল না।’
সভায় সরকারের সমালোচনা করে জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘জনগণ সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। যার প্রমাণ সম্প্রতি নির্বাচনগুলো। সরকার বলছে, জনগণের সিংহভাগই আওয়ামী লীগের সমর্থনে রয়েছে, অথচ ভোটই পড়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ। তাহলে সরকারের সমর্থকরা কোথায়?’
বাবলু বলেন, সরকারের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসীরা, দুর্নীতিবাজরা আজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে কারা আটক হচ্ছে? এদের প্রশয়দাতা কারা?