বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভিডিও আছে, সব ধরা পড়বে: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২০ ২২:০৯

‘তাদের এইটা বুঝা উচিত, এখন টেকনোলজির কারণে সব ধরা পড়ে যাবে। আমার কাছে সব ভিডিও আছে। অপরাধীরা সব ধরা পড়বে।’

ঢাকায় বাসে আগুন দেয়ার ভিডিও আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধরা পড়বে সবাই।

বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে ভোট চলাকালে রাজধানীতে নয়টি বাসে রাতে আরও একটি বাসে আগুন দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগের অভিযোগ, আগুন দিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে বিএনপির দাবি, ভোটে কারচুপি করা হয়েছে আর সেটা লুকাতে আগুন দেয়া হয়েছে বাসে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সংসদের সোমবারের বিশেষ অধিবেশনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদের বক্তব্যের জবাবে ফোনালাপের রেকর্ড শুনিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিই এই কাজ করে এখন আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘তাদের এইটা বুঝা উচিত এখন টেকনোলজির কারণে সব ধরা পড়ে যাবে। আমার কাছে সব ভিডিও আছে। অপরাধীরা সব ধরা পরবে।’

দুটি উপনির্বাচনেই আওয়ামী লীগ জিতেছে বড় ব্যবধানে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকায় নির্বাচন চলাকালে যখন বিএনপি বুঝতে পেরে গেছে তারা হেরে যাবে পুট করে বাসে আগুন লাগায়ে দিসে।’

সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগেরও জবাব দেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমরা সরকারে আছি, আমরা আগুন দিয়ে কেন বদনামের ভাগিদার হবো? নির্বাচন করার ইচ্ছা নেই ঠিকঠাক প্রতিনিধি দেবেন না, এজেন্ট দেবেন না, তারপর বলবেন নির্বাচন হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে। এই দুঃসময়ে তারা মানুষকে আরও কষ্ট দিচ্ছে।’

বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠন নিয়ে আবার কথা বলেন তার কন্যা। বলেন, ‘জাতির পিতা যখন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ গঠন করেন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন তিনি। দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি করা, দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতি করার জন্য তিনি এইটি করেছিলেন।

‘দুর্ভাগ্য তখন এইটি নিয়ে অনেক সমালোচনা হলো এবং পরে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হল। ফলে তিনি কৃষকদের উন্নয়নের রূপরেখা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ এক ভাষণে বলেছিলেন, আমরা সারা দেশে প্রতিটি গ্রামে কম্বলসারি (বাধ্যতামূলক) কো অপারেটিভ করা হবে। যেইখানে জমির মালিকানা মালিকের কাছেই থাকবে। ৫০০ থেকে ১০০০ ফ্যামিলি নিয়ে এক একটি কোঅপারেটিভ হবে। যেইখানে উৎপাদিত জমির ফসল মালিক নেবেন একটি অংশ যাবে কোঅপারেটিভে আর একটি অংশ যাবে সরকারের কাছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আজকে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ করছি। যার শুরু জাতির পিতা অনেক আগেই করে গিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা চেয়েছিলেন থানায় থানায় একটি করে কাওন্সিল থাকবে। এই কাউন্সিলে কৃষক প্রতিনিধি থাকবে, শ্রমিক প্রতিনিধি থাকবে, আওয়ামী লীগ থেকে একজন থাকবে।

‘এই কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতির পিতা দেশের মানুষকে এক করতে চেয়েছিলেন। জাতির পিতা শাসন ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করতে চেয়েছিলেন। তিনি জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বলেছিলেন, জনগণের মতামত নিয়ে কাজ না করলে শুধু আইন দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। সেই সঙ্গে সিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে, ঘুণে ধরা সিস্টেম দিয়ে দুর্নীতি রোধ করা যাবে না, জাতির পিতা এটি পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন।’

‘২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা এই সংসদে দাঁড়িয়েই বলেছিলেন তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চান। ৭৫ এর যে নতুন এমেনমেন্ট করা হয়েছিল সেইটিতে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, আমাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, দুর্নীতি, ঘুস, চোরাকারবারির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দেশের মানুষকে কাজ করে যেতে হবে এটি বলেছিলেন জাতির পিতা।

জাতির পিতা যে দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন সেইটি তাকে করতে দেয়া হয়নি। নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার আজ ৪৯ বছর। দেশ এখন কোথায় আছে? হ্যা, আওয়ামী লীগ সরকার আসতে পেরেছিল বলেই আমরা যতটুকু উন্নতি হওয়ার সেইটি করতে পেরেছি। জাতির পিতা তো সারাদেশের মানুষের কষ্টটা জানতেন, তিনি সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন। এ জন্যই তিনি জানতেন কীভাবে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। কাজেই আমরা যখনই সরকারে এসেছি দেশের উন্নতি করতে চেয়েছি, দেশের মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করতে হবে সেই লক্ষ্যে কাজ করে গিয়েছি। এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, একমাত্র চিন্তা।’

এ বিভাগের আরো খবর