বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কবিতা চৌধুরী কীভাবে যুবলীগে

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ২৩:১৭

যুবলীগের নির্বাহী কমিটির পদ পাওয়ার পর প্রায় দুই দশক আগে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছবি ভাইরাল। তবে এই নেত্রী দাবি করেছেন, তিনি খেলাধুলা করতেন। সে জন্য সব সরকার প্রধানের সঙ্গেই তার ছবি আছে।

আইনজীবী চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা যুবলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য হওয়ার পর তার প্রায় দুই দশক আগের বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। একাধিক ছবিতে দেখা যায়, বিএনপি নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বা বসে আছেন তিনি।

ছবিগুলো খালেদা জিয়ার সে সময়ের বাসভবন ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডে তোলা। আর সেটা কোনো রাষ্ট্রীয় বা সরকারি আনুষ্ঠানিকতার ছিল না। একেবারেই ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি। দুটি ছবিতে বর্তমানে যুবলীগ নেত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর একটি ছবিতে দেখা যায়, খালেদা জিয়া একটি চেয়ারে বসে আছেন। তার মৌসুমী ফাতেমা মাটিতে বসে সে চেয়ারের হাতল ধরে রেখেছেন।

যুবলীগে পদ পাওয়া একজন নেতা প্রশ্ন তুলেছেন এই আইনজীবীর পদ পাওয়া নিয়ে। তবে একই কমিটিতে থাকায় তিনি নিজের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন।

মৌসুমী ফাতেমা পরিচিত কবিতা চৌধুরী নামে। তার দাবি, তিনি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়িত ছিলেন। এ কারণে সে সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছবি তুলেছেন। 

তবে কবিতার পরিবার রাজবাড়ীতে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে।  

শনিবার সন্ধ্যায় যুবলীগের ২০১ সদস্যের যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাতে বেশ কয়েকটি চমক আছে। ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে দুইবার হারিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের নাম সভাপতিমণ্ডলীতে থাকার সংবাদের চমক শেষ হতে না হতেই খবর আসে আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচক আন্দালিভ রহমান পার্থর ছোট ভাই আশিকুর রহমান শান্ত হয়েছেন নির্বাহী কমিটির সদস্য।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির ফাতেমার যুবলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সে রাতে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি সেভাবে পরিচিত নন।

তবে রোববার দিনভর ফাতেমার সেই পুরনো ছবিগুলো ফেসবুকে ছড়াতে থাকে।  

যুবলীগের সদ্য কমিটির এক সহসম্পাদক নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, ‘শুনছি উনি (মৌসুমি ফাতেমা) বিএনপি করত। উনি কীভাবে যুবলীগের কমিটিতে আসলেন এটা আসলে কারই বোধগম্য নয়।’

চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমার ডাকনাম কবিতা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংসদ সদস্য হতে চেয়েছিলেন। দলীয় মনোনয়ন ফরমও জমা দিয়েছেন।

তবে কবিতা চৌধুরীর পারিবার আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তার ভাই জুয়েল চৌধুরী এখনও রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানা মৎসজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক।

কবিতা চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে এলএলবি অনার্স, মাস্টার্স ও এমফিল ডিগ্রি করেছেন। ২০০২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হন। এর পর ৯ নভেম্বরের ২০০৩ সালে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য হন।

সুপ্রিম কোর্টের সরকার সমর্থক এক নারী আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, ‘উনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিএনপি নেত্রীর সাথে উনার ছবিও আছে। তবে গত ২/৩ বছর ধরে উনি আওয়ামী লীগ পরিচয় দিচ্ছেন।’ 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কবিতা চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কবে, কোথায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এটা কি কেউ বলতে পারবে?’ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা অবশ্যই মিথ্যা।’ 

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছবিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগে পদ পাওয়া এই নেত্রী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে সকল আমলের সরকারপ্রধানের সঙ্গে আমার ছবি আছে। এরশাদের সঙ্গেও ১৯৮৯ সালের আমার ছবি আছে। এছাড়া রওশন এরশাদের সঙ্গেও আমার ছবি আছে। যে ছবিগুলো ভাইরাল হয়েছে, সে ছবিগুলো আছে, এগুলো আসলে আমি পুরস্কার নেয়ার সময় তোলা।

‘ছোটবেলা থেকে আমি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলাম। এ কারণে সব আমলের সরকার প্রধানের সঙ্গেই আমার ছবি আছে।’

কবিতা চৌধুরীর দাবি, ছোট থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে বেড়ে উঠেছেন। বলেন, ‘যুবলীগের সদস্য হিসেবে নিজের সেরাটুকু দিয়ে দলের জন্য কাজ করে যাব।’

এ বিভাগের আরো খবর