সরকার রাষ্ট্রক্ষমতাকে চিরকাল কুক্ষিগত রাখতে দেশব্যাপী বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গুম করার মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে গুমের মতো নিষ্ঠুর অপকর্ম করে রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে দিতে চাইছে।
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই মোস্তাফিজুর রহমান এবং মিজানুর রহমান মিজানকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে।’
গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর খামারবাড়ী থেকে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং পল্টন এলাকা থেকে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করা হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুজনকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করছে না।
প্রিন্স ওই দুই নেতাকে শিগগিরই জনসমক্ষে আনার আহ্বান জানান। তাদের নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
প্রিন্স বলেন, গত ১২ বছরে সরকার তাদের বিভিন্ন অনুগত বাহিনী বা এজেন্সি দিয়ে বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী ছাড়াও ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক, লেখক, পরিবেশবাদীদের গুম করিয়েছে।
বিএনপির দাবি, আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামশেদ উদ্দীনকে হত্যা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান প্রিন্স।
তিনি গত ১২ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বানের দিন রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগ নিয়ে কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতার অভিযোগ, সরকার ভোটে জালিয়াতি থেকে দৃষ্টি সরাতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বাস পোড়ানোর অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করেছে।