বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে: ফখরুল

  •    
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ১৪:০০

‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র আন্দোলন সহজ নয়। এতে অনেক আত্মত্যাগের প্রয়োজন হতে পারে।’

বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে নেতা-কর্মীদেরকে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ জন্য অনেক আত্মত্যাগ লাগবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল সরকারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র আন্দোলন সহজ নয়। এই আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এতে অনেক আত্মত্যাগের প্রয়োজন হতে পারে।’

বাংলাদেশে এখন আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয় দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই রাষ্ট্র এখন আর জনগণের নয়। রাষ্ট্র এখন লুটেরাদের হাতে পড়ে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশনসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।'

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ইয়াজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছাড়ার পর রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকাতেই ছিল বিএনপি। তবে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। প্রায় দুই বছর পর জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়া দলটি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ২০১২ ও ২০১৩ সালে সহিংস আন্দোলন, ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলন আর ২০১৫ সালে সরকার পতনের আন্দোলনে নেমে খালি হাতে ঘরে ফেরে দলটি। সবশেষ ২০১৮ সালে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হওয়ার পরে আন্দোলনের হুমকি দিয়েও কিছু করতে পারেনি তারা।  

ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনীতিকে নিজেদের মতো করে আয়ত্তে এনে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে একদিকে যেমন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে যেন কথা বলতে না পারে তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’

ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় দলের নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততা আবার অস্বীকার করে ‌‘প্রকৃত অপরাধীদের' খুঁজে বের করার আহ্বানও জানান তিনি। এই ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন।

ফখরুল বলেন, ‘কে বা কারা দুর্বৃত্তরা এই আগুন দিল। অথচ সেই আগের খেলা। তারা তাদের এজেন্টদের দিয়ে নাশকতা করে বিএনপির ওপর দোষ চাপায়।

’নাশকতা যারা করছে তাদের সাথে বিএনপির কোনো যোগসূত্র নাই। তাই এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার আহবান জানাচ্ছি।’

বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে ঢাকায় নয়টি বাসে আগুন দেয়া হয়। রাতে আগুন দেয়া হয় আরও একটি বাসে। আওয়ামী লীগ অভিযোগ করছে, এতে জড়িত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। যদিও সেই রাতেই ফখরুল বিবৃতি দিয়ে তাদের নেতা-কর্মীদের দায় অস্বীকার করে বলেন, ভোটে কারচুপি থেকে জনগণের দৃষ্টি ফেরাতে সরকারই এই আগুন দিয়েছে। এই ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসানো হবে বলে আশঙ্কার কথাও বলেন তিনি।

এই ঘটনায় মামলার পর যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তাদের মধ্যে বিএনপির নেতা-কর্মী রয়েছেন। দলটির আরও কয়েকজন নেতার বাড়ায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতারা। 

ফখরুল বক্তব্য রাখছিলেন সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন- বিএফইউজে এর একাংশের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে। সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রোকন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রাজনৈতিক জোট জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের মিয়া গোলাম পরওয়ার, সাংবাদিক নেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজসহ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর