ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবি ও ঢাকায় বাসে আগুনের ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে দুই দিনের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
শনিবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আর রোববার সারাদেশে জেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে দলটি।
শুক্রবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি নেতার দাবি, বৃহস্পতিবার ঢাকা ও সিরাজগঞ্জে উপনির্বাচনের ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘একেকটা সেন্টারের সামনে দুই/তিন/চার/পাঁচশ করে বাইরের থেকে লোকজন এনে দাঁড় করে রেখেছে। যেই যাচ্ছে তাকে বের করে দেয় মেরে।’
সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোটের চিত্র
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নানা মিথ্যাচার করবে এই নির্বাচনকে জাস্টিফাই করার জন্য। কিন্তু কোনোভাবে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
ঢাকায় ২১৭ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হাবিব হাসান পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮২০ ভোট। আর ধানের শীষ প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন ধানের শীষ নিয়ে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৬৯ ভোট।
সিরাজগঞ্জে ১৭১ টি ভোট কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের তানভীর শাকিল জয় পান এক লাখ ৮৮ হাজার ৩২৫ ভোট। ধানের শীষ নিয়ে বিএনপির সেলিম রেজা ভোট পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে দলের প্রার্থী সেলিম রেজা অংশ নেন। তারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যেতে পারেননি। তারা যেতে চাইলেই ভয় দেখানো হয়েছে।
ভোট চলাকালে বাসে আগুন সরকারের কাজ বলে আবার অভিযোগ করেন ফখরুল। বলেন, ‘একটা পাতানো ও জালিয়াতি নির্বাচন হয়েছে। সেটা থেকে জনগণের দৃষ্টিকে দূরে রাখার জন্য এই বাস পোড়ানোর ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ছাত্র লীগের এক ছেলেকে গতকালের ঘটনায় গ্রেপ্তারও করা হয়েছে এবং সে বলেছে যে, তাকে পয়সা-টয়সা দিয়ে নিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগের লোকেরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই খবরটি প্রকাশ হয়েছে।’
বাস পোড়ানোর মামলায় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের সমালোচনা করে তাদের মুক্তিও দাবি করেন ফখরুল।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এ সময় উপস্থিত ছিলেন।