ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপির ধানের শীষের তুলনায় ক্ষমতাসীন দলের নৌকায় ভোট পড়েছে ১৪ গুণেরও বেশি।
২১৭ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হাবিব হাসান পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮২০ ভোট। আর ধানের শীষ প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন ধানের শীষ নিয়ে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৬৯ ভোট।
আসনে ভোট পড়েছে ১৪.১৮ শতাংশ।
সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারের খরা লক্ষ্য করা গেছে। তবে কেন্দ্রের বাইরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের জটলা লক্ষ্য করা গেছে।
আসনটিতে ভোট নেয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে। আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরেই ভোট দেয়ার সুযোগ মিলেছে।
বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন দাবি করেছেন, তার জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল
দিনভর ভোটার খরা নিয়ে আলোচনা ছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এই আসনেই ভোট দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি উপ নির্বাচন হওয়ায় ভোটারের আগ্রহ কম থাকতে পারে।
দিনভর ভোটারের খরা ছিল ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে
বিএনপি অবশ্য ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে নতুন করে নির্বাচনের দাবি করেছে। বেলা চারটায় ভোট শেষে সংবাদ সম্মেলন করে এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল সরকার নির্বাচনটা সুষ্ঠু করবে। কিন্তু তারা তাদের পূর্বের চরিত্র দেখিয়েছে।’
বিএনপির অভিযোগ, তাদের এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়া হয়েছে।
সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট নেয়া হয়। দিনভর ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ভোট দিয়েছেন ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিব হাসান সকালে বলেছেন, তার জয় নিশ্চিত। বিএনপির প্রার্থী পরাজয় বুঝতে পেরে আগাম অভিযোগ করে রেখেছেন। দলটি মিথ্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে।
একই দিন ভোট হয়েছে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে। ওই আসনের ভোটের কারচুপির অভিযোগ করেছে বিএনপি। তবে আওয়ামী লীগ তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
মোট ছয় জন প্রার্থী ছিলেন এই নির্বাচনে। প্রধান দুই দলের প্রার্থী ছাড়া অন্যরা হলেন জাতীয় পার্টির নাসির উদ্দিন সরকার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ওমর ফারুক, গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ ও পিডিপির মহিববুল্লা বাহার।
টানা তিনটি নির্বাচনে এই আসন থেকে জয় পাওয়া আওয়ামী লীগে সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।