যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জো বাইডেনের ভক্ত হয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ২৭০টির বেশি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে জয়ী নিশ্চিত করেন বাইডেন। জিতেই ট্রাম্পের আমলের বিতর্কিত কিছু সিদ্ধান্ত বাতিলের কথা জানান সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার এসব বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন অনেক রাষ্ট্র, সরকারপ্রধান ও রাজনীতিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আমেরিকার নির্বাচন ব্যবস্থা থেকে শিক্ষা নিতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা বাইডেনের বক্তব্যগুলো লক্ষ্য করবেন। আমি তো রীতিমতো তার ভক্ত হয়ে গেছি। তার বক্তব্য কোনো দল বা ব্যক্তির জন্য না; এটা গণতন্ত্রের স্পিরিট।
‘তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর বলেছেন, নির্বাচনের আগে যেগুলো হয়েছে, তা বাদ দিয়ে আমেরিকার অগ্রযাত্রায় আসুন সকলে একসাথে কাজ করি। এটাই গণতান্ত্রিক নেতার বক্তব্য হওয়ার কথা।’
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে ‘সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে’ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকাকে দেখেন। তারা সম্পূর্ণ চাপের মধ্যে থেকেও পুরোপুরি অবিচল ছিল। জনগণের যে রায়, সেটাই গণতন্ত্র।
‘আর গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী করতে হবে। প্রশাসনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং জনগণের কল্যাণমুখী একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।’
ভারতের বিহার রাজ্যে নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি দাঁড়িয়ে যায় এবং সেগুলো শক্তিশালী হয়, তবে কেউ জোর করে ক্ষমতায় থাকতে পারে না। ভারতের বিহারে নির্বাচন হয়েছে। আপনারা লক্ষ করে দেখবেন, এতকিছুর পরও তাদের নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।’
সরকারের উদ্দেশে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক বলেন, ‘আসুন আমরাও বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি না করে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করি এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক রাখি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।