যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আশা করছেন, বাংলাদেশ-আমেরিকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় যাবে।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, ডেমোক্র্যাট সরকার বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মানবিক ও সহানুভূতিশীল বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় আগামী দিনগুলোতে অবদান রাখবে। বাংলাদেশের জনগণের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এবং দুই দেশের সরকারের সম্পর্ক আরও নতুন উচ্চতা পাবে।’
গত ৩ নভেম্বরের ভোটের চার দিন পর প্রকাশিত ফলে বাইডেনের জয় নিশ্চিত হয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও পরাজিত প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সারা বিশ্ব থেকেই বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে।
কাদের বলেন, ‘আমরা আশা করি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ অভিন্ন ইস্যুতে ভবিষ্যতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে।
‘আঞ্চলিক ইস্যু, বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং অভিবাসনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বরাবরের মতো যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাধান্য পাবে বলেও আমরা আশা করি।’
সরকার বিরাজনীতিকরণ করছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেয়া বক্তব্যের জবাব দেন কাদের। বলেন, সরকার এই নীতিতে বিশ্বাসী নয়।
‘১/১১ তে প্রথমে মাইনাস ফর্মুলায় পড়েছিলেন শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময়ের দেয়া মামলায় বেগম জিয়ার সাজা হয়েছে। এর মামলা আওয়ামী লীগ সরকারের দেয়া মামলা নয়’, বলেন সেতুমন্ত্রী।
কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মাইনাস কিংবা প্লাস ফর্মুলায় বিশ্বাসী নয়। বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মানবিক ও রাজনৈতিক ঔদার্যের পরিচয় দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
‘শেখ হাসিনা মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে চায় বলেই বেগম জিয়ার সন্তানের মৃত্যুতে তাকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপির সংস্কৃতি জনমানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার আর নির্বাচনবিমুখতা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আদালতের রায়ে কেউ শাস্তি ভোগ করলে তার দায় সরকারের নয়। এখানে বিরাজনীতিকরণের কোনো বিষয় নেই। আওয়ামী লীগেরও অনেক নেতা আইনের আওতায় শাস্তি পাচ্ছে। সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেফতার করেনি।’