জাতীয় থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচন নিয়েই বিএনপি নেতাদের আর কথা বলতে ইচ্ছে হয় না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশান বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যেসব পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে, সেগুলোর ভোট ডিসেম্বরের শেষ দিকেই ইভিএম পদ্ধতিতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পৌরসভায় এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট হতে যাচ্ছে।
বিএনপি স্থানীয় সরকারের এসব নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের পক্ষে নয় বলেও জানান দলটির মহাসচিব। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশে ইভিএমের মাধ্যমেই বেশি ভোট কারচুপি হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে যেসব নির্বাচন হওয়ার কথা তা এগিয়ে ডিসেম্বরে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর অর্থ হলো, জনগণ ছাড়াই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ভোটেই নির্বাচিত হবে তারা। এমনিতেও আপনারা দেখে আসতেছেন কত কম ভোট পড়ে এক একটি কেন্দ্রে।
‘আপনারা সবাই জানেন, শীত আসছে। শীতে করোনার প্রকোপ আবার বাড়বে। সে সময় নির্বাচন দিলে এমনিতেই তাতে জনগণ অংশ নিতে পারবে না।‘
নির্বাচন এক প্রকার প্রহসন হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস হয়ে গেছে। জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এমনিতেও আমাদের এ নিয়ে কথা বলতে আর ইচ্ছে করে না।’
ইভিএম পদ্ধতির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দেশে আসলে ইভিএম গ্রহণযোগ্য নয়। এটাতে কারচুপি করতে বেশি সুবিধা। ভোটকারচুপির অন্যতম মাধ্যম হলো এই যন্ত্র
‘একটা দলকে ক্ষমতায় রাখার জন্য যা যা দরকার তা-ই তারা (সরকার) করছে। সেভাবেই সাজাচ্ছে। সেটা নির্বাচন কমিশন হোক আর ইভিএম হোক- সবই তারা তাদের সুবিধার্থে ব্যবহার করছে। অথচ নির্বাচনের ওপরই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর