বামপন্থী নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হায়দার আনোয়ার খান জুনো (৭৫) আর নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া প্রমুখ।
হায়দার আনোয়ার খান জুনো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনোর ছোট ভাই।
অনিক রায় জানান, হায়দার আনোয়ার খান জুনো নিউমোনিয়ার আক্রান্ত হলে তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার হার্ট অ্যাটাকও হয়। পরে তাকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা গেছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন হায়দার আনোয়ার খান জুনো। ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলনে অংশ নেয়ার জন্য কারাভোগ করতে হয়েছিল তাকে। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানেরও অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি।
১৯৭০ সালে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন গঠিত হলে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান। মুক্তিযুদ্ধে নরসিংদীর শিবপুর অঞ্চলের কমান্ডার ছিলেন জুনো। ১৯৭৯ সালে ওয়ার্কার্স পার্টি গঠিত হলে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের ওপর তার লেখা বইয়ের মধ্যে ‘একাত্তরের রণাঙ্গন শিবপুর’ ও ‘আগুনঝরা সেই দিনগুলো’ অন্যতম।