বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগ ভোটারের কাছে যায়নি: বিএনপি

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২০ ২০:০৮

‘আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে কখনও ভোটারদের কাছে যেতে দেখি নাই। তিনি শুধু এসপি ও প্রশাসনের কার্যালয়ে দৌড়াদৌড়ি করেছেন। কীভাবে ভোট ডাকাতি করা যায় সেই ব্যবস্থা করেছেন।’

ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনের প্রচার চলাকালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভোটার নয়, প্রশাসনের কাছে দৌড়াদৌড়ি করেছিলেন বলে মন্তব্য এসেছে বিএনপির পক্ষ থেকে।

শনিবারের ভোটে কারচুপির অভিযোগ এসে রোববার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেন বিএনপির পরাজিত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ।

ভোটে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনু পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৬৪২ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের সালাহ্উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন দুই হাজার ৯২৬ ভোট৷

আসনটিতে ভোট পড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ। এত কম ভোট সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে বিরল।

ভোট শেষ হওয়ার পর পরই সালাহউদ্দিন নিজ বাসায় কারচুপির অভিযোগ এনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান। বিক্ষোভে তিনি আগের দিনের অভিযোগেরই পুনরাবৃত্তি করেন।

বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘এটা ছিল একটি প্রহসনের নির্বাচন। ভোটাররা কেউ যায়নি। বিএনপির কোনো পোলিং এজেন্ট ছিল না। সবাইকে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তাহলে এই অবৈধ সরকার এবং নির্বাচন কমিশন কোথায় থেকে এই ভোট দিল? তাই আমি আবারও এই অবৈধ সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে কখনও ভোটারদের কাছে যেতে দেখি নাই। তিনি শুধু এসপি ও প্রশাসনের কার্যালয়ে দৌড়াদৌড়ি করেছেন। কীভাবে ভোট ডাকাতি করা যায় সেই ব্যবস্থা করেছেন।

‘বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ যখন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তখন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তার সমস্ত মেধা-বুদ্ধি দিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং তার গুন্ডা বাহিনীর সহযোগিতায় ভোটের ফল তার দিকে নিয়ে গেছেন।’

সোহেল বলেন, ‘নির্বাচনের দিন আমি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য সেই এলাকায় গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি সেই এলাকায় গুন্ডাপান্ডা দিয়ে ভর্তি। শুধু ভোটাররাই নয়, সাধারণ জনগণও সেদিন বাসা থেকে বের হতে পারে নাই। বাসা থেকে বের হলেই ভোটাররা দেখতে পেয়েছে বাসার সামনে এলাকার সবচেয়ে বড় গুন্ডা এবং ঢাকার আশেপাশের সব গুন্ডা দাঁড়িয়ে আছে। যার কারণে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রেও যেতে পারেনি।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কঠোর সমালোচনা করে সোহেল বলেন, ‘জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে দিনের ভোট রাতে করার কারণে আজ হোক কাল হোক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ফাঁসি বাংলাদেশের মাটিতে হবেই।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর