কেন্দ্র দখল, পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ফের নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। এসময় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনেরও পদত্যাগ দাবি করেন সালাহউদ্দিন।
বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘প্রচারণার শুরু থেকেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমার কাজে বাঁধা দিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে। আমাদের সিনিয়র নেতাদের আক্রমণ করেছে।
‘সব কিছু উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা দেখার জন্য আমি নির্বাচনে ছিলাম। কিন্তু দেখলাম, একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছে। জনগণকে ভোট দিতে আসতে দেয়া হয়নি। আমি এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি এবং পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এর প্রতিবাদে রোবাবর দুপুর ২টায় ঢাকা-৫ আসনে স্থানীয়ভাবে মানববন্ধন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের শুরুতে আওয়ামী লীগের লোকজন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল, ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। বরাবরের নির্বাচনের মতো আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনেও কারচুপির করেছে। তারা ভোটারদের থেকে আঙুলের চাপ নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দিয়েছে।’
বিএনপির এই প্রার্থী অভিযোগ করেন, নির্বাচনে বিভিন্ন স্কুল কেন্দ্র তাদের নারী পোলিং এজেন্টদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শ্লীলতাহানী করেছে। এজেন্টদের মোবাইল ও অর্থ রেখে দিয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছে। পুলিশও নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে।