জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে ও বাইরে গণফোরামের দুটি বিরোধপূর্ণ পক্ষের আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালিত হয় শনিবার একই সময়ে। দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন অংশের কেন্দ্রীয় কমিটি সভা চলে প্রেসক্লাবের ভেতরের মিলনায়তনে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া ও নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান সশরীরে যোগ দিলেও সভাপতি ড. কামাল হোসেন যুক্ত হন ভার্চুয়ালি।
একই সময় অপর পক্ষের নেতা দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের বাইরে পালিত হয় সারাদেশে ধর্ষণ, নির্যাতন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি।
গত ১২ মার্চ কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর এটিই কমিটির প্রথম সভা, যাতে আহ্বায়ক কমিটির ৭০ সদস্যসহ ১৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের সভাপতিত্বে এই সভায় সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, আ ও ম শফিক উল্লাহ, মহসিন রশিদ, সুরাইয়া বেগম, জানে আলম ও মোশতাক আহমেদ মূল মঞ্চে ছিলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সভা চলাকালে বাইরে মোস্তফা মহসিন মণ্টু ও তার পক্ষের নেতাদের কর্মসূচি
সভাপতি ড. কামাল হোসেন ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলটির জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে কর্মী বাড়ানোর নির্দেশ দেন।
কামাল হোসেন বলেন, ‘আপনারা প্রতিটা জেলাতে দলকে সংগঠিত করুন, তরুণ ও নারীদের সংখ্যা বাড়ান। সারাদেশে সভা-সমাবেশ করুন এবং গণফোরামের নীতি-আদর্শ মানুষের কাছে তুলে ধরুন।’
অন্যদিকে বাইরে অবস্থান কর্মসূচিতে গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিলের জন্য গঠিত প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা মহসিন মন্টু কথা বলেন ধর্ষণের প্রতিবাদে। তবে দলের বিরোধ নিয়ে কোনো বক্তব্য রাখেননি।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কষাঘাতে বাংলাদেশের মানুষ আজ ক্ষুব্ধ, বিক্ষুব্ধ।’
এই নেতাও দলের বিরোধ নিয়ে কিছু বলেননি।
গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরীরা সম্প্রতি সভা করে আলাদা কাউন্সিল ডেকেছেন। এ জন্য তাদের বহিষ্কারের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে। তবে তারা গণফোরামের নামে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে অবিচল।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর কামাল হোসেনের দলে বিভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর আলাদা কাউন্সিল ডেকে তাতে আমন্ত্রণ জানান ড. কামালকে। তবে রেজা কিবরিয়াকে বাদ দেয়া হয়।