ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দুই দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংযোগ বাড়াতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ধরনের সফর দুই দেশের জনগণের বিদ্যমান সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
ওই সময় তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশ আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়টির সম্মানজনক সমাধান করতে পারবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। এরই মধ্যে আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।’
বাংলাদেশ ও ভারতের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে’ বহুমাত্রিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ যেকোনো সমস্যার সমাধান সহজতর হয়।
তিনি বলেন, ‘২১ বছর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে কৃত্রিম দেয়াল ছিল, তা এখন আর নাই। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন দুই প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।’
তিনি বলেন, এরই মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা ও ছিটমহল বিনিময়ের মতো সমস্যার সমাধান হয়েছে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অফুরন্ত অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এগিয়ে নিতে উভয় দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে।
কাদের জানান, ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বিআরটিসির জন্য ৯২৮টি বাস ও ৫০০ ট্রাক সংগ্রহ করা হয়েছে। সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে সরাইল-ধরখার হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলেছে।