বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নীলফামারী ইপিজেডে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত-১

  • নীলফামারী প্রতিনিধি   
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:০৫

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত শতাধিক। এদের মধ্যে ৫ জন গুরুতর আহত অবস্থায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে পুরো ইপিজেড এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ইপিজেডের এভারগ্রীণ কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিব উত্তরা ইপিজেডের ইকু প্লাস্টিক কারখানার শ্রমিক ও কাজিরহাট এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে বলে জানান শ্রমিকরা।

জানা যায়, এভারগ্রিণ কোম্পানির শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছিলেন। মঙ্গলবার এভারগ্রিণ কোম্পানি ঘোষণা করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। তারই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে ইপিজেডের মূল গেটে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। ইপিজেডের অন্য কোম্পানির শ্রমিকদের কাজে যোগদান বাধা প্রদান করতে থাকে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে হাবিব নামে এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়। পড়ে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইপিজেডের শ্রমিক মমিনুর রহমান বলেন, ‘আমরা অন্য কারখানার কোনো শ্রমিককেই প্রবেশে বাধা দেইনি। বরং তারাই আমাদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে আমাদের সঙ্গে অবস্থান নেয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রধান গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা অমানবিকভাবে এক নারী শ্রমিককে মারধর করতেছিল। তখন আমরা সব শ্রমিকরা এগিয়ে গেলে তারা আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে তিনি মারা যান।’

আরেক শ্রমিক মো. রায়হান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন পরিচালনা করছি। কিন্তু আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা চালাল কেন? আমরা তো কোনো রাজনৈতিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামিনি। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করছি।’

লিপি আক্তার নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা ডিউটি করতে গেছি। যায়া দেখি গেট বন্ধ। হঠাৎ করে সেনাবাহিনী-পুলিশ আমাদের ওপর হামলা ও গুলি চালায়। তারা কার অনুমতি নিয়ে আমাদের ওপর গুলি চালাল। আমাদের এক ভাই নিহত হইল। এর দায়ভার কে নেবে। সরকারকে জবাব দিতে হবে।’

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে মোট ৬ জনকে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে হাবিব নামে একজন ব্যক্তি ছিল তাকে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

৫৬-বিজিবি নীলফামারীর অধিনায়ক লে. কর্নেল এস.এম বদরুদ্দোজা বলেন, ‘বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো ধরনের মব সৃষ্টির সুযোগ নেই। প্রশাসনিক পর্যায়ে কাজ চলছে। বর্তমানে ইপিজেডের সকল কোম্পানি বন্ধ রয়েছে।

এই রিপোর্টলেখা পর্যন্ত উত্তরা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ, এভারগ্রীণ কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক চলমান থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর